ভারতে হাইপ্রোফাইল অপহরণের ছক কষছিস বাংলাদেশী জঙ্গি গোষ্ঠী
বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে একথা পরিস্কার যে বড়সড় কোনও পরিকল্পনা ছিল জেএমবির। এবং আওয়ামী লিগের রাজনৈতিক বিরোধি দল বিএনপিকে সাহায্য করার পুরোদমে পরিকল্পনা ছিল জেএমবির।
বর্ধমানে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এনএসএ
বর্ধমান বিস্ফোরণের গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্র দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তদন্তের ভার দেয়। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বে একটি দল পাঠানো হয় রাজ্যে। ডোভালের বাংলা সফর যে রাজ্য সরকারের কাছে শুধু কড়া বার্তা দিল তা নয়, বাংলাদেশকেও বুঝিয়ে দেওয়া হল যে ভারত বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। ভারতে সন্ত্রাসবাদীরা যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাইছিল তা উৎখাত করতেও সচেষ্ট
বর্ধমান কাণ্ডে রাজ্য সরকারের উপর একটি গুরুতর অভিযোগ ওঠে যে, তারা এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। ডোভাল জানিয়ে দেন রাজ্য পুলিশ তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সব রকমের সহযোগোগিতা করছে না। বর্ধমান কাণ্ডের বীজ উপরাতে দেলে রাজ্যের সহযোগিতাও একান্ত প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়, বাংলায়ে জেএমবি লোক পাঠাচ্ছে গোয়েন্দাদের তরফে এই রিপোর্ট দেওয়ার পরও কী করে জঙ্গীরা একটা আধিপত্য ঘটাতে পারল বাংলায়।
বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় বর্ধমানে জেএমবি আঁতাতের সূত্রে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলতে চায়। ভারত বাংলাদেশকে এবিষয়ে আশ্বস্ত করেছে যে এই গোটা বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। বাংলায় ৫৩ টির কাছাকাছি যে মডিউল সংখ্যা রয়েছে তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জেএমবি-র নিশানায় ছিল বাংলাদেশ
বাংলাদেশে এক নয় একাধির হামলার ছক কষেছিল জেএমবি। আর তার জন্য বোমা ফ্যাক্টরিও তৈরি করা হয়েছিল। বল বিয়ারিং, পেলেট, লাথেস, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সহ বহু সামগ্রী সংগ্রহ করেছিল। এমনকী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে একটি আত্মঘাতী বাহিনীও গঠন করেছিল তারা।
ভারত থেকে বেশ কয়েকটি হাই প্রোফাইল অপহরণ করে একটা বড় ধাক্কা দিতে চেয়েছিল জেএমবি। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপির সদস্যদের স্বাধীন প্রবেশ নিশ্চিত করাও ছিল জেএমবির উদ্দেশ্য।
আল কায়েদার সঙ্গে জামাত যোগ
বিএনপি-র বহু দস্য পালিয়ে গিয়েছিল ফলে বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল। জামাত বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিস্থাপন করতে চেয়েছিল ফলে আওয়ামী লিগ জেএমবি-র উপর কড়া মনোভাব দেখিয়েছিল। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য আল কায়েদা সহ অন্যান্য জঙ্গী গোষ্ঠীর সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রেখে এসেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের কড়া মনোভাবের জন্য তারা তা করে উঠতে পারছিল না।