যোগীর রাজ্যে পাণ্ডবদের 'বার্নাওয়াত'-এ খননকার্য চালানোর সিদ্ধান্ত এএসআই-এর
পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বাগপতে অবশেষে খনন কার্য চালানোর সিদ্ধান্ত নিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেখানে মহাভারত যুগের লক্ষগৃহ রয়েছে বলে স্থানীয় ঐতিহাসিকদের দাবি।
পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বাগপতে অবশেষে খনন কার্য চালানোর সিদ্ধান্ত নিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেখানে মহাভারত যুগের লক্ষগৃহ রয়েছে বলে স্থানীয় ঐতিহাসিকদের দাবি।
এবার এএসআই-এর খনন কার্য উত্তরপ্রদেশের বার্নাওয়াতে। সেখানে একসময় পাণ্ডবদের বাস ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। এলাকার ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। কেননা সেখান থেকে টানেলের মধ্যে দিয়েই পাণ্ডবরা পালিয়ে গিয়েছিল।
পাণ্ডবদের মারতে কৌরবরা লক্ষগৃহ তৈরি করেছিল। তবে কৌরবদের চোখে ধুলো দিয়েই টানেলের মাধ্যমে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল পাণ্ডবরা। নির্বাসন শেষে ফেরার পর কৌরবদের বেছে দেওয়া পাঁচ গ্রামের মধ্যে বার্নাওয়াত ছিল অন্যতম। জানিয়েছেন, মোদীনগরের মুলতানি মাল পিজি কলেজের ইতিহাসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর কৃষ্ণকান্ত শর্মা।
টানেলের দৈর্ঘ্য এবং বাঁকের কথা স্থানীয়রা জেনেছেন বাড়ির বড়দের কাছ থেকেই। গল্প চলেছে বংশ পরম্পরায়। ফলে কেউই সাহস করে টানেলের মধ্যে ঢোকেননি কোনও দিন। ফলে খননকার্য চালানো হলে, টানেলের দৈর্ঘ্য সম্পর্কে জানা যাবে এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া যাবে। বলছেন ইতিহাসের ওই অধ্যাপক।
লালকেল্লার দ্য ইনস্টিটিউট অফ আর্কিওলজি এবং এএসআই-এর এসকাভেশন ব্রাঞ্চকে বাগপতে ক্যাম্প করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই সংগঠনকে মিলিতভাবে এলাকায় খননকার্য চালানোর জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। জানিয়েছেন, এএসআই-এর অন্যতম কর্তা জিতেন্দ্র নাথ।
এএসআই-এর দলের সদস্যরা অবশ্য খনন কার্য স্থলের ধর্মীয় দিকটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। নতুন দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ আর্কিওলজির ডিরেক্টর এসকে মঞ্জুল জানিয়েছেন,বর্তমান খননকার্যস্থলের কিছুটা দূরেই ২০০৫ সালে কঙ্কাল এবং মাটির জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছিল। ফলে এখনই বিষয়টিকে নিয়ে বলার মতো সময় আসেনি। আগামী তিম মাসে সেখানে খননকার্য চালানো হবে। ফলাফলের ওোপর নির্ভর করে পরবর্তী বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।