আতঙ্কিত হবেনা না, করোনা ভাইরাস নিয়ে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম
করোনা ভাইরাসের (কোভিড–১৯) সংক্রমণকে পৃথিবীব্যাপী মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। যে ভাবে দ্রুত ঘাতক হয়ে উঠছে এই ভাইরাস, তাতে রীতিমতো চিন্তিত হু। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে যে কর্নাটকে এই রোগে মৃত্যু নিয়ে ভারতে ৮৯ জন আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে। নতুন করে করোনা ভাইরাস দেশের বেশ কিছু শহরে হানা দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে এটা অনেকটা জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু মানুষের মধ্যে অযথা আতঙ্ক ও ভুয়ো প্রচারই চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।
কি করবেন আপনি
এ ধরনের গুরুতর পরিস্থিতিতে সাধারণ কিছু বুদ্ধি খাটানো শ্রেয়। আবহাওয়ার বদল এ ক্ষেত্রে অনেকটাই সাহায্য করবে। তবে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্যই নিজে এবং আপনার পরিবারকে প্রস্তুত রাখুন। সবচেয়ে ভালো উপায় হল পরিকল্পনা করে কাজ করুন। যদি আপনাকে ১৪দিন ঘরের ভেতর বিচ্ছিনঞন থাকতে হয় তবে কি করবেন সেটা নিয়ে একটা সাধারণ ধারণা তৈরি করে নিন।
কথা বলুন এবং পরিকল্পনা করুন
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলুন যাতে একে-অপরের যত্ন নিতে পারেন। জরুরি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করুন, প্রতিবেশীদেরকেও এই আলোচনায় যুক্ত করে নিন। যদি বাড়ি থেকে বেরতে না পারেন তবে খাবার ডেলিভারি পরিষেবার সন্ধান করে তার নম্বর হাতের কাছে রাখুন। বাড়ি থেকেই কাজ করার আগাম অনুমতি চেয়ে নিন। একটা ঘর বাছুন যেখানে অন্যদের থেকে আলাদা থাকতে পারবেন।
খাবার ও জল
অনেক গবেষক-বিশেষজ্ঞরাই তিনদিন বা দু'সপ্তাহ অথবা ৩০ দিনের খাবার-জল মজুত রাখতে বলছে। আপনি যেহেতু বাইরে যেতে পারবেন না তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার, সবজি, ফল এনে রেখে দিন বা খাউকে দিয়ে আনিয়ে নিন। জলও বেশি করে নিজের কাছে এনে রাখুন।
ওষুধ
কিছু চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন যে যাদের মধুমেহ ও উচ্চ রক্ত চাপ রয়েছে তারা যাতে বেশি করে ওষুধ মজুত করে রাখে। পেট ব্যাথা বা ব্যাথা নিরাময়কারী ওষুধও কাছে রাখা ভালো এই সময়ে।
পরিচ্ছন্নতা
যে ঘরে থাকবেন তা যেন সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। নিজের রোজকার পোশাকও ধুয়ে নেবেন। ফ্যান-আলোর সুইচ, দরজার হাতল সব কিছু যেন জীবাণু মুক্ত থাকে। তাই সেগুলি স্যানিটাইজার দিয়ে পরিস্কার করা ভালো।