কেবল কঠিন সময়ে তাঁর নাম ভেসে আসে, কেন এমন বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
কেবল কঠিন সময়ে তাঁর নাম ভেসে আসে, কেন এমন বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
১৯ বছর আগে যখন তাঁর হাতে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল তখন দেশের ক্রিকেটে চলছিল অঘোষিত এমার্জেন্সি। ম্যাচ ফিক্সিং, বেটিং-এ জর্জরিত ভারতীয় ক্রিকেট দলের হাত সেসময় যে ব্যক্তি শক্ত করে ধরেছিলেন, তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কমবেশি একক প্রচেষ্টায় টিম ইন্ডিয়াকে এমন এক পর্যায়ে এনে খাঁড়া করেছিলেন, তার ফল পাচ্ছে এ প্রজন্ম।
কঠিন সময়ে দায়িত্ব
বিসিসিআই-র সভাপতি পদে বসে স্মৃতির সরণী বেয়ে ১৯ বছর আগে ফিরে গিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যেভাবে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে ট্র্যাকে ফিরিয়েছিলেন, সেভাবে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে দেওয়া তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে জানালেন মহারাজ। কেবল কঠিন সময়েই যে তাঁর নাম ভেসে আসে, তা জানাতেও ভোলেননি বিসিসিআই সভাপতি। এটা তাঁর আক্ষেপ না অহংকার, বুঝবেন কী নিন্দুকরা!
বোর্ডের গ্রহণযোগ্যতা
ম্যাচ ফিক্সিং, বেটিং, দুর্নীতিতে কার্যত বেঁকে গিয়েছে বিসিসিআই-র মেরুদণ্ড। পরিস্থিতি এমন যে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। নজরদারির জন্য বিসিসিআই-র মাথায় কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও এথিক্স অফিসারকে বসিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তা যে ক্রিকেটের জন্য খুব একটা ভাল ইঙ্গিত নয়, বলাই বাহুল্য। ঠিক এই অবস্থা থেকে তিনি বিসিসিআই-কে টেনে তুলবেন বলেই আশ্বাস দিয়েছেন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেছেন, ভারতীয় বোর্ডের গ্রহণযোগ্যতা তিনি ফিরিয়ে আনবেনই।
সব সত্যি তো!
মাঠে হোক বা বাইরে, বরাবারই সোজা ব্যাটে খেলতে ভালোবেসেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই বিসিসিআই-র সভাপতি হয়ে যে তাঁর ঘোর কাটেনি, তা স্পষ্ট ভাষায় জানাতে কোনও কার্পণ্য করেননি মহারাজ। বলেছেন, যখন ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলেন, তখন ভাবেননি যে তিনি ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন। খেলা ছাড়ার পর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা সিএবি সভাপতি এবং সেখান থেকে বিসিসিআই-র দায়িত্ব - সবটাই তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সৌরভ। তাঁর বক্তব্য, বিসিসিআই-র সভাপতি হওয়ার কথা তিনি কোনওদিন ভাবেনইনি। সবকিছু তাঁর জীবনে আদৌ ঘটেছে কিনা, নিজেকে চিমটি কেটে দেখতে চান মহারাজ।
সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন
ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে অনেক মার্কস দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, তিনি মানুষকে বোঝাতে পারেন। তিনি যা করেন, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সব কাজই তিনি হৃদয় থেকে করেন বলেও জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
দৃষ্টান্ত স্থাপন
ক্রিকেটারদের কাজ যে মাঠেই ফুরিয়ে যায়, তা বিশ্বাস করেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ক্রিকেট জীবন শেষ হওয়ার পর দেশের প্রতি ক্রিকেটারদের দায়িত্ব থেকেই যায়। তাই তাঁর মতো দেশের অন্যান্য ক্রিকেটারদের খেলা ছাড়ার পর ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন মহারাজ।