বিনোদ কাম্বলি ফের বিতর্কে! গ্রেফতার হয়ে জামিন পেলেন কী অভিযোগে?
বিনোদ কাম্বলি ফের বিতর্কে। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় তিনি যে আবাসনে থাকেন সেখানকার গেট গাড়ির ধাক্কায় ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, তিনি বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারও হন বিনোদ কাম্বলি। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বান্দ্রা থানার পুলিশ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, কাম্বলির বিরুদ্ধে ২৭৯, ৩৩৬ ও ৪২৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, অন্যের জীবন ও নাগরিক সুরক্ষাকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া এবং ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে কাম্বলির বিরুদ্ধে। পরে আরও জানা গিয়েছে, বছর ৫০-এর বিনোদ কাম্বলি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। একটি গাড়িতেও তিনি গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারেন। বান্দ্রা সোসাইটির এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতেই কাম্বলিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মোটর ভেহিকল অ্যাক্টের ১৮৫ নং ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়। আবাসনের ওয়াচম্যান ও কিছু বাসিন্দার সঙ্গে কাম্বলি বচসাতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
দেশের হয়ে ১৭টি টেস্টে ১০৮৪ রান রয়েছে কাম্বলির, চারটি শতরান-সহ। ১০৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেছেন। রান করেছেন ২৪৭৭, রয়েছে ২টি শতরান। ১৯৯১ সালে ভারতের হয়ে তাঁর অভিষেক হয়, ২০০০ সালের অক্টোবরে শেষ ম্য়াচ খেলেছেন। ক্রিকেট খেলার সময় এবং ক্রিকেট ছাড়ার পরেও কাম্বলি নানা সময় বিতর্কে জড়িয়েছেন। এমনকী সচিন তেন্ডুলকর নিজেও বিপথে চলে যাওয়া কাম্বলিকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। রমাকান্ত আচরেকরের কাছে সচিন, কাম্বলি, আমরে প্রশিক্ষণ নিতেন। ভারতীয় দলেও একসঙ্গে তাঁরা খেলেছেন। একটা সময় সচিনের সঙ্গে কাম্বলির দূরত্ব বাড়লেও পরে তাঁরা সম্পর্ক স্বাভাবিক করেন।
গত বছর বান্দ্রা থানায় কাম্বলি অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, তিনি সাইবার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়ে কাম্বলি এক লক্ষ টাকা খুইয়ে বসেন। কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য চাওয়ার নামে কাম্বলির থেকে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ওই প্রতারক কাম্বলিকে ফোন করেছিল। প্রতারক যা জানতে চেয়েছিল সেই তথ্যগুলি জানাতেই কাম্বলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা।