ভারতকে টি ২০ বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা নিতে হবে রাহুলকে, উপলব্ধি গৌতম গম্ভীরের
অ্যাডিলেড থেকে মেলবোর্নে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। রবিবার সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে রোহিত শর্মারা খেলবেন জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দলকে স্বস্তি দিয়েছে লোকেশ রাহুলের ফর্মে ফেরা। প্রথম তিনটি ম্যাচে দুই অঙ্কের রান পাননি। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩২ বলে ৫০ রান করেছেন। সেই সঙ্গে লিটন দাসকে দুরন্ত থ্রো-এ সাজঘরে পাঠিয়ে ভারতের জয়ের পথ মসৃণ করে দেন।
লোকেশ রাহুলের চেনা ছন্দে ফেরা যে কতটা স্বস্তি দিয়েছে সে কথা বলেছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কেএলের দক্ষতার উপর টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রাখা যে ভুল ছিল না তাও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ে। রাহুলের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার গৌতম গম্ভীর। স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট লাইভ অনুষ্ঠানে গম্ভীর বলেন, ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেছিলেন রাহুল, তা দেখে সকলেই উচ্ছ্বসিত হন। আমার মতে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করবেন রাহুল। একটা খারাপ ইনিংস কাউকে খারাপ প্লেয়ার বানিয়ে দেয় না, একটা ইনিংস দেখে কাউকে গ্রেট বলাও ঠিক নয়। ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। সময় দিতে হবে। পয়েন্টের উপর দিয়ে শটটাই পরিস্থিতি বদলে দিয়েছিল। রাহুল ফর্মে ফিরেছেন, আমি তো মনে করি তিনি ফর্মেই ছিলেন।
গম্ভীর আরও বলেন, এমন সময় আসে যখন কেউ অবদান রাখতে চান। বিশ্বকাপ চলছে, সকলের নজর রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি কোনও ব্যাটারের শুরুটা ভালো নাও হয় তা হলেও তাঁকে খারাপ বলা যায় না। যদি ভারতকে বিশ্বকাপ জিততে হয় তাহলে রাহুল, রোহিত, ঋষভ পন্থ, এই তিনজনকেও ভালো খেলতে হবে। হার্দিক পাণ্ডিয়া এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে রয়েছেনই। ফলে রাহুল ফর্মে ফিরেছেন, আশা করি তিনি ফর্ম ধরে রাখতে পারবেন। আগ্রাসী থেকেই তাঁকে খেলা চালিয়ে যেতে হবে। সেটা হলে কেউ তাঁকে থামাতে পারবেন না। যেভাবে রাহুল খেলেন, তাতে একমাত্র নিজেকে থামাতে পারেন তিনিই।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের কথায়, রাহুল অনেক দিন ধরে খেলছেন। অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৪-১৫-তে তাঁর অভিষেক হয়েছিল। সেই সফরে আমিও দলের সঙ্গে ছিলাম। রাহুলের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচেই শতরান করেছিলেন। রাহুল একজন স্পেশ্যাল প্লেয়ার এবং ভারতীয় ক্রিকেটকে অনেকদিন সেবা করতে পারবেন। রাহুলের টেকনিক অসাধারণ। যখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে কেউ যান তখন সতীর্থদের সমর্থনটা জরুরি হয়ে পড়ে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হয়। প্রথম পাঁচ-ছয়টি বল দেখলেই বোঝা যায় তিনি যেভাবে সেগুলি ছাড়লেন তাতে শান্ত থেকে বড় ইনিংস খেলতে চাইছেন। সেটাই রাহুলের ছন্দে ফেরার পক্ষে ইতিবাচক হয়েছে বলে মনে করেন বাঙ্গার।
লিওনেল মেসি শিক্ষামূলক প্রচারের দূত! বিশ্বকাপের আগে চমক ভারতীয় সংস্থার