ভারত-পাক ম্যাচে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির আউট হওয়ার ধরণে বিরক্ত গাভাসকর, বহিঃপ্রকাশ করলেন নিজের ক্ষোভের
ভারত-পাক ম্যাচে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির আউট হওয়ার ধরণে বিরক্ত গাভাসকর, বহিঃপ্রকাশ করলেন নিজের ক্ষোভের
নিজের শততম টি-২০ ম্যাচে বিরাট কোহলির থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় বলেই ফকর জামানের হাতে স্লিপে প্রায় ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৩৫ রানে থামে কোহলির ইনিংস। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ভারতকে জয় পেতে সব থেকে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট পাওয়ার পাশাপাশি ১৭ বলে ৩৩ রানের ম্যাচ উইনিংস ক্যামিও খেলেন হার্দিক। তরুণ অলরাউন্ডারের ইনিংসের উপর ভর করেই দুই বল বাকি থাকতে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪৮ রান তুলে নেয় ভারত।
বাজে শট খেলে আউট বিরাট-রোহিত:
বিরাট কোহলি ৩৪ বলে ৩৫ রান করেন এই ম্যাচে। যদিও দীর্ঘ সময় বিশ্রাম পাওয়ার পর এই ম্যাচে তাঁর কাছ থেকে বড় রান আশা করেছিলেন ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা। অন্য দিকে, ইনিংসের শুরু থেকেই রোহিত শর্মাকে নড়বড়ে দেখিয়েছে। এই ম্যাচে মোমেন্টাম ধরতে ব্যর্থ হন রোহিত। তাঁর ইনিংস শেষ হয় ১৮ বলে ১২ রান করে। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম দুই সেরা ব্যাটসম্যান মহম্মদ নাওয়াজের বলে লং-অফে আউট হন। যার ফলে ৫৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় ভারত। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির মতো দুই অত্যন্ত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান যে ভাবে আউট হয়েছেন তা মেনে নিতে পারেননি সুনীল গাভাসকর।
শট নির্বাচনকে তিরস্কার:
বর্তমান ভারত অধিনায়ক এবং প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের শট নির্বাচন নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সানি। তিনি জানিয়েছেন, ইনিংসের ওই সময়ে কোনও বড় শটের প্রয়োজন ছিল না। তিনি বলেছেন, "রাহুল মাত্র একটা বল খেলে। ফলে সেখান থেকে কোনও কিছুই আপনি জাজ করতে পারবেন না। রোহিত এবং কোহলির কাছে সুযোগ ছিল কিছুটা সময় ব্যাটিং করার।, ওরা রানও পাচ্ছিল। মানুষজন যখন কোহলির ফর্ম নিয়ে কথা বলত আমি বলত, আমি বলতাম ও ভাগ্যের সাহায্য পাচ্ছে না। আজ ভাগ্যের অনেক সহায়তা ও পেয়েছিল। একটা ড্রপ ক্যাচ, একাধিক ইনসাইড এডজ, যেগুলো একেবারে স্ট্যাম্পের সামনে দিয়ে গিয়েছিল, ওর ভাগ্য ছিল। ও সেই সুযোগ কাজে লাগায় এবং বেশ কিছিু সুন্দর শট খেলে। কিন্তু প্রত্যেকে আশা করেছিল যে ভাবে ও শুরু করেছে তাতে ৬০-৭০ রান অন্তত করবে। রোহিত আউট হওয়ার পরই ও আউট হয়। ওই পর্যায়ে ওই শটগুলোর কোনও প্রয়োজনই ছিল না কারণ আস্কিং রেট ১৯ বা ২০ ছিল না যে ওই পর্যায়ে ছয় মারার চেষ্টা করবে।"
৭০-৮০ রানে পৌঁছে চাইলে বড় শট খেলার কথা ভাবা যেত:
ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি জানিয়েছেন ৭০-৮০ রানে পৌঁছনোর পর এই ধরনের বড় শট খেলা যেতে পারত। তাঁর কথায়, "ওদের জন্য জরুরি ছিল ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, ৭০-৮০ রান করো তার পর চাইলে বড় শটের জন্য যেতে পারো। এই ম্যাচ থেকে এটা শেখা উচিৎ।"
ভারতের জয় মসৃণ করেল রবীন্দ্র জাডেজা এবং হার্দিক পান্ডিয়ার জুটি:
ভারতকে এই ম্যাচ জেতা থেকে আটকাতে পারেনি পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেটে রবীন্দ্র জাডেজা এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ৫২ রানের পার্টনারশিপ ভারতের জয়কে মসৃণ করে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। ওভারের প্রথম বলেই মহম্মদ নাওয়াজ আউট করেন রবীন্দ্র জাডেজাকে। তবে, এতে কোনও সমস্যা হয়নি ভারতের। পান্ডিয়া নিজের স্নাযুর উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে দুই বল বাকি থাকতে ছয় মেরে ভারতেক জয় এনে দেন।