সৌরভ বাবার মতো নন! মিষ্টি কথায় মহারাজের কাছে দুই আবদার সানি-বীরুর
ট্রেন্ট ব্রিজে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচের ফাঁকেই মিষ্টি-কথায় মধুর ছোঁয়া দিলেন সুনীল গাভাসকর। বিসিসিআই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বার্তা পাঠাতে যোগ্য সঙ্গত দিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগও। আর তাঁদের কথোপকথন, বলা ভালো মিষ্টি-কথা তারিয়ে উপভোগ করলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
|
দই মহিমা
যে চ্যানেলে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে টেস্ট ম্যাচ দেখানো হচ্ছে সেখানে ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষকদের জন্য মাঝেমধ্যে রাখা থাকছে মিষ্টি দই। কোনও ভালো কাজে বেরনোর সময় বড়রা দই খেয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন, বিশ্বাস এতে মঙ্গল হয় বা শুভ কাজ সফল হয়। দিন দুই আগে ক্রিকেট বিশ্লেষণের সময় সে কথা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক শন পোলককে বোঝান সানি। তিনি বলেন, আমি যখন বাড়ি থেকে বেরোতাম তখন আমার মা দইয়ের বাটি এগিয়ে দিতেন এবং তাতে কিছুটা চিনিও দিতেন।
মিষ্টি-কথা
আজ ফের সানি টেবিল থেকে দইয়ের ভাঁড় তুলে নিয়ে শুরু করলেন মিষ্টি-কথা। তবে এদিন তাঁর পাশে ছিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। সুনীল গাভাসকর দই, বিশেষ করে মিষ্টি দই খুব ভালোবাসেন। সঙ্গে রসগোল্লাও। আজ গাভাসকর বলেন, আমি যখন দেশের অধিনায়ক হিসেবে কলকাতায় খেলতে যেতাম বিমানবন্দরে আমাদের স্বাগত জানাতে হাজির থাকতেন চণ্ডী গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি তখন সিএবি-র সচিব ছিলেন। হোটেলে গিয়ে দেখতাম ফ্রিজে তিনি আমার জন্য দইয়ের বড় হাঁড়ি রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা তিনি করেছেন। এমনকী হাঁড়িভর্তি রসগোল্লাও নিয়ে আসতেন। টেস্টের জন্য অনেকদিন থাকতে হত। তাই দই আর মিষ্টি থাকত অঢেল পরিমাণে। কিন্তু একটা কমপ্লেন এখন রয়েছে।
|
সানির খেদ
তখন হর্ষ ভোগলে ও বীরেন্দ্র সেওয়াগ ভাবেন, ছোট ভাঁড় নিয়েই বোধ হয় সেই কমপ্লেন! কিন্তু সানি বলেন, যাঁকে উদ্দেশ করে বলছি, তিনি শুনলে ভালো। তাঁর বাবা সিএবি সচিব হিসেবে বড় হাঁড়িতে করে দই আর রসগোল্লা আনতেন আমার জন্য। কিন্তু তাঁর পুত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখন বিসিসিআই সভাপতি। এখন আর কিছুই পাই না!
দই-মিষ্টির দাবি
অনুযোগের কথা মজাচ্ছলে সানি বলতেই হাসিতে ফেটে পড়ে সেওয়াগ বলেন, দাদা এরপর সানি ভাই বা আমার সঙ্গে দেখা হলে অবশ্যই যেন মিষ্টি দই আর রসগোল্লার ব্যবস্থা থাকে। সৌরভের সঙ্গে গাভাসকার আর সেওয়াগের যা সম্পর্ক তাতে এদিনের পর সৌরভ যে আতিথেয়তায় বাবার ঐতিহ্য বহনে আর অনিচ্ছাকৃত ভুলটি করবেন না তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।