উমরান মালিকের প্রশংসা আনরিখ নরকিয়ার! ছন্দে ফিরতে রাজকোটে কীসের সন্ধানে প্রোটিয়া পেসার?
আজ রাজকোটে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটিং সহায়ক। হাই স্কোরিং ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা। নজর থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার আনরিখ নরকিয়ার দিকে। চলতি সিরিজে বিশাখাপত্তনমে কোনও উইকেট পাননি, ২৩ রান খরচ করেছিলেন। দিল্লি ও কটকে ৩৬ রানের বিনিময়ে যথাক্রমে একটি ও দুটি উইকেট নেন।
২০২২ সালের আইপিএলে নরকিয়া ১৬ ম্যাচে ২২টি উইকেট নিয়েছিলেন, গড় ছিল ২৩.২৭, ইকনমি ৮.৩৯। গত বছরের আইপিএলে ১৫.৫৮ গড় ও ৬.১৬ ইকনমি রেটে ৮ ম্যাচে নেন ১২ উইকেট। টি ২০ বিশ্বকাপেও ভালোই ছন্দে ছিলেন। কিন্তু চোটের কারণে বেশ কয়েক মাস মাঠের বাইরে কাটাতে হয়। দেশের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধেও নরকিয়াকে পায়নি প্রোটিয়ারা। এবারের আইপিএল শুরুর পর ফিট হয়ে মাঠে নেমে মাত্র ৬টি ম্যাচ খেলেন, পেয়েছেন ৯টি উইকেট। গড় ২৪.১১, ইকনমি ৯.৭২। গত বছরের আইপিএল বা টি ২০ বিশ্বকাপেও যে ছন্দে ছিলেন, বর্তমানে তা যে নেই তা স্বীকার করছেন নরকিয়া।
গতকাল রাজকোটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, শরীরের কথা বললে এখনও ১০০ শতাংশে পৌঁছাইনি। বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও সেরা ছন্দে থাকতে যা দরকার তার দু-একটি বিষয়ের সন্ধান এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক নিজের সেরা জায়গায় ফেরার প্রক্রিয়া চলছে। ঠিক কোন জায়গায় এখনও সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে সামান্য কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। একেবারেই যে ছন্দে নেই বিষয়টি তেমন নয়। তবে আমি নিজে কিছু সামান্য উন্নতি ঘটাতে চাইছি, যাতে গত বছরের আইপিএলে যেমন জায়গায় ছিলাম, সেখানে পৌঁছাতে পারি।
এবারের আইপিএলে গতির লড়াইয়ে উমরান মালিক, লকি ফার্গুসনের সঙ্গে আনরিখ নরকিয়ার দিকে নজর ছিল। নজর রয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের। উমরানের অবশ্য এখনও আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে না হলে হতে পারে আয়ারল্যান্ড সফরে। উমরানের মতো নরকিয়াও ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটারের আশেপাশে বল করতে পারেন। এবার আইপিএলে উমরানের ঘণ্টায় ১৫৭ কিলোমিটার বেগে বল করার নজির ফাইনালে ভেঙে দেন লকি ফার্গুসন, ঘণ্টায় ১৫৭.৩ কিলোমিটার বেগে বল করে।
ঋষভ পন্থের জায়গা ভারতীয় দলে সুরক্ষিত নয়! চাপ বাড়াতে তৈরি কোন চার ক্রিকেটার?
তবে ছন্দ ফিরে পেতে নরকিয়া গতিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। গতির প্রতিযোগিতাতেও নামতে নারাজ। নরকিয়া বলেন, মালিক ভালো বোলার, ভালো গতিতে বল করেন। তা তিনি মাঠেই দেখিয়েছেন। জোরে বল করা সবার পক্ষে ভালো। তবে জোরে বল করাটাই শেষ কথা নয়, ম্যাচ জেতানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফলে কে বেশি জোরে বল করেন তা নিয়ে আমি ভাবছি না। দলের হয়ে অবদান রাখতে চাই।