আইপিএলের শুরুতে থাকবেন না ডিভিলিয়ার্সরা! জেনে নিন কারণ
আইপিএলের শুরুতে থাকবেন না ডিভিলিয়ার্সরা! জেনে নিন কারণ
করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাড়তে থাকায় আইপিএলের শুরুতেই হয়তো দেখা যাবে না এবি ডিভিলিয়ার্স সহ দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি ক্রিকেটাররা। একই কারণে প্রোটিয়া তারকারা ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও অংশ নিতে পারেননি। তাঁদের দেশ না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
কেশব প্রসাদ মৌর্য (উত্তরপ্রদেশ)
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি রাজ্য প্রধান হলেন কেশব প্রসাদ মৌর্য। তিনি লোকসভায় ফুলপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনের পরে তিনি উত্তরপ্রদেশে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে। বিজেপির এই জয়ের পিছনে বড় কারিগর তিনি। মৌর্যর যাদব সম্প্রদায়ের নন সেটা তাঁর পক্ষে যেতে পারে। আর যেটা বিপক্ষে যেতে পারে সেটা হল তাঁর সেভাবে প্রশাসনিক কোনও অভিজ্ঞতা না থাকা। [আঞ্চলিক দলগুলি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধুন নিজেদের সর্বনাশের কথা মাথায় রেখে]
আইপিএলের শুরুতে নেই ডিভিলিয়ার্সরা!
আর কয়েক দিনের মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে অনুষ্ঠিত হতে চলা আইপিএলের শুরুর কয়েকটি ম্যাচে হয়তো দেখা যাবে না এবি ডিভিলিয়ার্স, কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডুপ্লেসিস, ডেল স্টেইন সহ দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যান্য ক্রিকেটারদের। করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাড়তে থাকায় তাঁদের দেশ ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
রাজনাথ সিং (উত্তরপ্রদেশ)
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং শেষবার এরাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দু'বার এই রাজ্যের বিজেপি সভাপতিও থেকেছেন। নির্বাচনের আগে তিনি সারা রাজ্যে ১২০টি ছোটবড় জনসভা করেছেন। দলের জয়ে অন্যতম অবদান রেখেছেন। তবে প্রশ্ন হল, কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেবে কিনা বিজেপি। [কেন মায়াবতীর বসপার হার উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ]
দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের নিষেধাজ্ঞা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সে দেশে এখনও পর্যন্ত চার লক্ষ আশি হাজারেরও বেশি মানুষ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন সাত হাজারেরও বেশি মানুষ। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ক্রিকেটারদের দেশের বাইরে যেতে নিষেধ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। সেপ্টেম্বরের শেষে এই নিষেধাজ্ঞা উঠবে বলে জানানো হয়েছে। একই কারণে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারেননি প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা।
মনোজ সিনহা (উত্তরপ্রদেশ)
উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের এই সাংসদ অন্যতম দাবিদার মুখ্যমন্ত্রিত্বের। এই মুহূর্তে তিনি টেলিকম ও রেল প্রতিমন্ত্রীর কাজ সামলাচ্ছেন। দলের ও দলের কর্মীদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে ভালোই। নিজের পূর্ব উত্তরপ্রদেশের আসনেও তিনি সমান জনপ্রিয়।
কবে শুরু আইপিএল
এখনও পর্যন্ত যা খবর করোনা ভাইরাসের আবহে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে হবে এবারের আইপিএল। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিযোগিতা। ১০ নভেম্বর আইপিএলের ফাইনাল হওয়ার কথা।
যোগী আদিত্যনাথ (উত্তরপ্রদেশ)
উপরের তিনজন বাদে উত্তরপ্রদেশের আর এক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা ও সাংসদ যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন। তবে এই হিন্দুত্ববাদী নেতার একপেশে রাজনীতি তাঁর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। বরুণ গান্ধীও এই দৌড়ে রয়েছেন।
গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক
আগামী রবিবার আইপিএল নিয়ে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাবে বিসিসিআই। ওই দিন বৈঠকে বসছে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। বৈঠক শেষে আইপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচিও ঘোষণা করা হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (পাঞ্জাব)
প্রচারের শুরু থেকেই কংগ্রেস জানিয়ে এসেছে পাঞ্জাবে জিতলে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো অমরিন্দর লাম্বি ও পাতিয়ালা থেকে দাঁড়িয়ে একটি থেকে জিতেছেন। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌঁড়ে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তবে পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে লড়াই মূলত উপমুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তার। এক্ষেত্রে অমৃতসর পূর্ব থেকে জয়ী নভজ্যোত সিং সিধু এই পদ পেতে পারেন।
বিসি খান্ডুরী (উত্তরাখণ্ড)
উত্তরাখণ্ডে বিজেপি পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিজেপির তরফে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিসি খান্ডুরী পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। তবে ৮২ বছর বয়সী এই নেতাকে পদ দেওয়া হয় কিনা সেটাই দেখার।
বিজয় বহুগুণা (উত্তরাখণ্ড)
বহুদিনের কংগ্রেস নেতা বিজয় বহুগুণা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদের দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। এছাড়া রমেশ পখরিয়াল, ভগত সিং কোশিয়ারী ও অজয় ভাট রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে।
চৌবা সিং (মণিপুর)
মণিপুরে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে যদি অন্যদের মদতে কংগ্রেসকে সরিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করে তাহলে চৌবা সিং এগিয়ে থাকবেন। তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। তিনবার লোকসভার সাংসদ ও একবার উপমুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন।
এন বীরেন সিং (মণিপুর)
হেইনগ্যাং বিধানসভা থেকে এন বীরেন সিং পরপর তিনবার নির্বাচনে জিতেছেন। তিনি এখন কংগ্রেস দলে রয়েছেন। প্রাক্তন ফুটবলার বীরেন সিং বিএসএফ জলন্ধর দলের হয়ে খেলেছেন। তিনি একসময়ে সাংবাদিকতাও করেছেন।
মনোহর পার্রিকর (গোয়া)
গোয়ায় বিজেপি-কংগ্রেস একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। গোয়ায় বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে আগের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পার্রিকরকে ফেরানো হতে পারে। ২০১৪ সালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে পার্রিকরকে ফের গোয়ার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।