দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার, প্রথম ধাপে বিরাটদের ভাঙতে হবে সেঞ্চুরিয়ন-দুর্গ
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্ক। এখানে ভারত একবারও জেতেনি। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এটি সবচেয়ে পয়া। প্রোটিয়াদের দেশে ব্যাটিং সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। ফলে সিরিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত হবে বোলারদের পারফরম্যান্সের নিরিখেই। ২০১৪ সালে শেষবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ইনিংস ও ২২০ রানে সেঞ্চুরিয়নে হেরেছিল প্রোটিয়ারা। তারপর চলছে জয়ের বিজয়রথ। যদিও দেশের মাটিতে শেষ আটটি টেস্টের পারফরম্যান্স কিন্তু চিন্তায় রাখতেই পারে ডিন এলগারদের।
দেশের মাটিতে দুটি সিরিজে পরাজয়
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডারবান ও পোর্ট এলিজাবেথে শ্রীলঙ্কার কাছে যথাক্রমে ১ ও ৮ উইকেটে টেস্ট হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ২০১৯ সালের বক্সিং ডে টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিয়নে ১০৭ রানে জিতলেও কেপ টাউন, পোর্ট এলিজাবেথ ও জোহানেসবার্গে প্রোটিয়ারা হেরে যায় যথাক্রমে ১৮৯ রান, ইনিংস ও ৫৩ রান এবং ১৯১ রানে। গত বছর সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা শ্রীলঙ্কাকে হারায় ইনিংস ও ৪৫ রানে। জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় টেস্টটি তারা জেতে ১০ উইকেটে। এরপর চলতি বছরের গোড়ায় পাকিস্তান সফরে গিয়ে করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকা পরাজিত হয় যথাক্রমে ৭ উইকেট ও ৯৫ রানে। গত জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা দুটি টেস্টেই ক্যারিবিয়ানদের হারায় যথাক্রমে ইনিংস ও ৬৩ রান এবং ১৫৮ রানে।
ভারত জেতেনি সেঞ্চুরিয়নে
২০১৮ সালে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দ্বিতীয় টেস্টটি হয়েছিল সেঞ্চুরিয়নে। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩৫ রান তোলার পর ভারত অল আউট হয়ে গিয়েছিল ৩০৭ রানে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৫৮ রানে। ভারতের টার্গেট ছিল ২৮৭। কিন্তু ভারত ১৫১ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ১টি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৯ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন লুঙ্গি এনগিডি।
কাটবে বিরাটের শতরানের খরা?
২০১৮ সালের সেই সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে দুই দলের মধ্যে একমাত্র শতরান হাঁকিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। প্রথম ইনিংসে ১৫৩ রান করেছিলেন, ২১৭ বলের ইনিংসে ছিল ১৫টি চার। এইডেন মার্করাম প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে সর্বাধিক ৯৪ রান করেছিলেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্রথম ইনিংসে চারটি ও ইশান্ত শর্মা তিনটি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে মহম্মদ শামি চারটি, জসপ্রীত বুমরাহ তিনটি ও ইশান্ত শর্মা দুটি উইকেট নেন।
সবচেয়ে পয়া
সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকা মোট ২৬টি টেস্ট খেলেছে। তার মধ্যে জিতেছে ২১টিতে। পরাজয় দুটিতে। ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রোটিয়াদের সেই টেস্টটি ছিল সিরিজের পঞ্চম টেস্ট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন টানা বৃষ্টি ও চতুর্থ দিন মাঠ ভিজে থাকায় একটি বলও খেলা হয়নি। ম্যাচ রেফারির নির্দেশে দুই দলেরই একটি করে ইনিংস বাতিল হয়। সেই টেস্ট ইংল্যান্ড জেতে ২ উইকেটে। ২০১৪ সালের পর থেকে আর সুপারস্পোর্ট পার্কে হারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত এই স্টেডিয়ামে ২০১০ ও ২০১৮ সালে দুটি টেস্ট খেলে দুটিতেই পরাজিত হয়েছিল। সেঞ্চুরিয়নে জয়-পরাজয়ের অনুপাত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে ১০.৫, এর থেকে ভালো রেকর্ড শুধু পাকিস্তানের রয়েছে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে (১১.৫)।