সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদারতা নজির তৈরি করল, দাদা স্নেহাশিস সিএবি-র পরবর্তী সভাপতি
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শেষ অবধি সরেই দাঁড়ালেন সিএবি সভাপতি হওয়ার দৌড় থেকে। তিনি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, সিএবি সভাপতি হতে চান ভোটে জিতে এসেই। সেই ঘোষণাই বিরোধী শিবিরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল আদৌ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সৌরভ সিএবি সভাপতি হবেন কিনা তা নিয়ে। শেষ অবধি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএবি সভাপতি হওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল।
(ছবি- সিএবি মিডিয়া)
৩১ অক্টোবর সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভা। সেদিনই অভিষেক ডালমিয়ার হাত থেকে সিএবির সভাপতিত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন স্নেহাশিস। অভিষেক ডালমিয়া আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য হয়েছেন বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায়। সিএবির নতুন কমিটির সচিব হওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে নরেশ ওঝার। যুগ্ম সচিব পদে রইলেন দেবব্রত দাস। কোষাধ্যক্ষ হলেন প্রবীর চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বিশ্ব মজুমদার সিএবি সচিব হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। তিনি ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখছিলেন বিরোধী শিবিরের সঙ্গে। সিএবি সূত্রে খবর, সৌরভ-অভিষেকরা চাইছিলেন মাঠের সঙ্গে যুক্তদের নিয়েই কমিটি তৈরি করতে। বিশ্ব মজুমদার সহ সভাপতি হবেন বলেও জল্পনা ছিল। শেষ অবধি অমলেন্দু বিশ্বাস সহ সভাপতি হলেন, তিনি এসএফআই নেতা ময়ূখের পিতা।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, আমি বলেছিলাম নির্বাচন হলে তাতে লড়ব। কিন্তু নির্বাচন তো হলো না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই পদে আসা ঠিক হতো না। আমি বিরোধী বলে কাউকে মনে করি না। সকলেই বন্ধুবন্ধব। তাছাড়া আমি সভাপতি হলে আরও দুজনের কমিটিতে আসা হতো না। তাই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। নতুন কমিটিতে অভিজ্ঞ লোকজনেরা রয়েছেন। আমিও বিভিন্ন সময় তাঁদের পাশে থাকব। বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়া এবং তারপর সৌরভ সিএবি সভাপতিও না হওয়ায় বাংলার ক্রিকেট মহল মনে করছে, আগামী বছর বিশ্বকাপ ফাইনাল ইডেনে হওয়ার সম্ভাবনাও রইল না। সৌরভকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিশ্বকাপ ফাইনাল কোথায় হবে তা বোর্ড ঠিক করে। প্রতিবার এক জায়গাতেই তো ফাইনাল হয় না। ভারতে অনেক ভালো ভালো স্টেডিয়াম রয়েছে। ক্রিকেট প্রশাসন থেকে সরে যাওয়ার পর নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলতে চাননি মহারাজ।
সৌরভের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল দাদা স্নেহাশিসের জায়গায়। এবার সৌরভ সভাপতি হলে সিএবি সচিব থেকে সভাপতি পদে উন্নীত হওয়া হতো না স্নেহাশিসের। তিনি বলেন, সৌরভকে ছাড়া বাংলার ক্রিকেট হয় না। তাঁকে সব সময়ই পাশে পাব। আগামী বছরের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ শুরু করেছি। উন্নত ডিএমএক্স প্রযুক্তি-সহ এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে ইডেনে। নতুন দর্শকাসন বসানো হচ্ছে। ক্যানোপির সংস্কার কাজ চলছে। ক্লাব হাউসকেও উন্নতমানের করা হবে। অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে কাজ করেছি। কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। বাংলার ক্রিকেট দল ভালো খেলছে। নভেম্বরের ৭ তারিখ থেকে সিএবি সুপার লিগ শুরু হবে।