কেন 'ভাই সাহাব' মহম্মদ কাইফ, জানালেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর
কেন 'ভাই সাহাব' মহম্মদ কাইফ, জানালেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর
ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিল্ডার মহম্মদ কাইফকে একটি বিশেষ নামে ডাকতেন তাঁর সতীর্থরা। সেই নামের পিছনে রয়েছে কোন কারণ, তা এতদিন অজানা থাকলেও, অবশেষে তা প্রকাশ্যে এল। বিষয়টিতে আলোকপাত করলেন খোদ মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর।
কাইফের উত্থান
২০০০-র অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মহম্মদ কাইফ, ব্যাটসম্যান হিসেবে টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়র দলে ডাক পান। কার্যক্ষেত্রে ব্যাটিং-র থেকেও তাঁর ফিল্ডিং প্রতিভার আত্মপ্রকাশ ঘটে অধিক পরিমাণে। মহম্মদ কাইফ ও যুবরাজ সিং-র ফিল্ডিং যুগলবন্দি ভারতীয় দলে নতুন যুগের সূচনা করে।
ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে তরুণ মহম্মদ কাইফ ও যুবরাজ সিং-র মধ্যে হওয়া ১২১ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে ম্যাচ জেতায়। ওই ফাইনালে ৮৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার পাশাপাশি গোটা সিরিজ জুড়ে কাইফের দুর্দান্ত ফিল্ডিং ক্রিকেট প্রেমীদের মন জয় করেছিল। ২০০৩ বিশ্বকাপ, ২০০৪-র পাকিস্তান সফরেও কাইফের ফিল্ডিং দেখে মুগ্ধ হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব।
একাগ্রতা একই
ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন বেশ কিছু বছর আগে। তা সত্ত্বেও যে মহম্মদ কাইফের ক্ষিপ্রতা ও একাগ্রতায় কোনও মরচে পরেনি, তা বোঝা যায় রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে। লেজেন্ড সচিন তেন্ডুলকরের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রাক্তনীদের দলের হয়ে অসাধারণ একটি ক্যাচ নিয়ে আরও একবার নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেন মহম্মদ কাইফ।
কী বললেন সচিন তেন্ডুলকর
কোনও রাখঢাক না রেখে সচিন তেন্ডুলকর জানিয়েছেন, কোনও ম্যাচ চলাকালীন মাঠে মহম্মদ কাইফের একাগ্রতা ও ক্ষিপ্রতা দেখে সতীর্থরা মুগ্ধ হতেন। ভালোবেসে কাইফের নাম 'ভাই সাহাব' দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। তাঁর কথায়, মাঠে কাইফ যেভাবে ডাইভ দিতেন, তাতে চোট-আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকত। কাইফকে সাবধান করতেই তাঁকে 'ভাই সাহাব, থোড়া সামহালকে' বলে সম্বোধন করা হত বলে জানিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর।