অর্শদীপের পাশে দাঁড়ালেন অশ্বিন! সমালোচকদের নিন্দা করে দিলেন কোন বার্তা?
অর্শদীপ সিং এখন ডেথ ওভারে ভারতীয় দলকে রীতিমতো ভরসা দিচ্ছেন। আইপিএলে নজরকাড়া সাফল্যের পরই তাঁর সুযোগ মেলে জাতীয় দলে। বল হাতে ভালো পারফরম্যান্স করলেও এশিয়া কাপ চলাকালীন তাঁকে তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং থেকে শুরু করে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করা হয়। এবার অর্শদীপের পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচকদের নিন্দা করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
|
অর্শদীপকে আক্রমণ
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে আসিফ আলির ক্যাচ ফেলেছিলেন অর্শদীপ সিং। ক্যাচটা সহজ ছিল, কিন্তু ক্যাচ পড়া খেলারই অঙ্গ। জীবন পেয়ে পাকিস্তানের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন আসিফ আলি। তাতেই রোষের মুখে পড়েন তরুণ পেসার অর্শদীপ। তাঁর গায়ে খালিস্তানি তকমা সেঁটে দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলতে থাকে অকথ্য ট্রোলিং। যদিও প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ সকলেই অর্শদীপের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দেন। পাশে থাকার ব্যাপারে তাঁর পরিবারকে আশ্বস্তও করা হয়।
মুখ খুললেন অশ্বিন
রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবার এই প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মুখ খুললেন। ক্যাচ ফেলার পরেও যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ ওভারে অর্শদীপ বোলিং করেছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন অশ্বিন। বলেন, অর্শদীপ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই চালিয়েছেন। শেষ ওভারে তাঁর বোলিংয়ের জন্যই ম্যাচটির রুদ্ধশ্বাস পরিসমাপ্তি হয়। শুধু পাকিস্তানই নয়, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও অর্শদীপ যে পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন তাতে নিশ্চিতভাবেই তাঁর বাহবা প্রাপ্য।
লম্বা রেসের ঘোড়া
অশ্বিন আরও বলেছেন, আমি অর্শদীপকে অনূর্ধ্ব ১৭, অনূর্ধ্ব ১৯-এর সময় থেকে দেখছি। তাঁর সঙ্গে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে খেলেছি। অর্শদীপ এক অসাধারণ মানুষ। যেভাবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্শদীপ নিজের দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকেন তাতে তাঁকে লম্বা রেসের ঘোড়া বলেই মনে করছেন অশ্বিন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তা দেখেছি। সকলেই সমালোচনা করতে পারেন। এটা আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। আমরা এ সব সামলেই এগিয়ে চলি। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। ভুলে গেলে চলবে না মাঠে অর্শদীপ আমাদের সকলের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করছেন।
আবেগের বশে আক্রমণ নয়
অর্শদীপের ক্যাচ ফেলা দেখে অনেকে তাঁর সমালোচনা করেছেন আবেগের বশেই। সে কথা অশ্বিন মানছেন। তিনি বলেন, কখনও কখনও নিজেদের সাধারণ মানুষের জায়গায় রাখতে হয়। তথ্য ও প্রযুক্তি শিল্প বা অন্য কোনও কারখানার কর্মচারী আবেগের বশে টুইট করতেই পারেন। কিন্তু কারও উদ্দেশে গালাগালি করা বা আপত্তিজনক শব্দ ব্যবহার একেবারেই ঠিক নয়। অর্শদীপ নিজেও তো ওইসব ট্রোলিং দেখতে পারে। উপলব্ধি করুন, এগুলি তাঁর মতো একজন তরুণকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে। তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপর এগুলির কতটা প্রভাব পড়তে পারে সেটাও উপলব্ধি করার পরামর্শ দেন অশ্বিন। যদিও সম্প্রতি অর্শদীপের বাবা বলেছেন, এমন সমালোচনা অর্শদীপকে আরও ভালো পারফর্ম করার ক্ষেত্রে উজ্জীবিত করবে।