বিরাট ও ধোনিকে নিয়ে মুখ খুললেন রবি শাস্ত্রী, সৌরভদের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কিরমানি?
বিরাট কোহলিকে একদিনের অধিনায়কত্ব থেকে সরানো নিয়ে বিতর্ক থামার ইঙ্গিতই নেই। এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। তবে কিরমানি একেবারেই খুশি নয় নির্বাচকমণ্ডলী ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআইয়ের ভূমিকায়। ইগো সরিয়ে রেখে মিলমিশ চাইছেন তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তথা ভারতের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক।
সৈয়দ কিরমানি বলেছেন, একে অপরের সঙ্গে পারস্পরিক মিলমিশ বজায় থাকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা করাও। ব্যক্তিগত জীবনে ইগো বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ইগোর কোনও জায়গা নেই। বিরাট কোহলি একজন পাওয়ারফুল ক্রিকেটার। নির্বাচকমণ্ডলী ও বিসিসিআই সভাপতিরও ক্ষমতা রয়েছে। যা ঘটেছে তা আর বাড়তে না দিয়ে পারস্পরিক মিলমিশ বজায় রাখার পরিস্থিতি তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেন কিরমানি। উল্লেখ্য, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, টি ২০ অধিনায়কত্ব না ছাড়তে তিনি অনুরোধ করেছিলেন বিরাটকে। যদিও বিরাট তা অস্বীকার করতেই নতুন বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকেই বলেন, বিরাট তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, এবার সৌরভেরও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। তবে সৌরভ বা বিসিসিআইয়ের কেউই এই বিতর্কে কিছু বলেননি।
এরই মধ্যে বিরাট কোহলিকে একদিনের অধিনায়কত্ব থেকে সরানো প্রসঙ্গে এই প্রথমবার মুখ খুলেছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত বিরাট ও রোহিত দুজনের কাছেই আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াবে। করোনা পরিস্থিতিতে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়া একেবারেই সহজ নয়। বিরাট এখন লাল বলের ক্রিকেটে আরও বেশি মনঃসংযোগ করতে পারবেন এবং যতদিন চাইবেন টেস্টে তিনি নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আমার মনে হয়, বিরাট আরও ৫-৬ বছর খেলবেন। ফলে তিনি নিজের খেলা নিয়েও পরিকল্পনা করার যথেষ্ট অবকাশ পাবেন। এর আগে বিরাট-সৌরভ সংঘাত নিয়ে শাস্ত্রী বলেছিলেন, বিরাট নিজের দিকের কথাটা জানিয়েছেন। সৌরভেরও বাকিটা স্পষ্ট করা উচিত তাঁর দিক থেকে। ভালো কমিউনিকেশন বজায় রাখলে গোটা পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া যেত।
মহেন্দ্র সিং ধোনির টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা গোটা দলকে কীভাবে অবাক করেছিল সে কথাও জানিয়েছিলেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট ড্র হওয়ার পর ধোনি আমার কাছে এসে বলেন, আমি সতীর্থদের কিছু বলতে চাই। শাস্ত্রী তখন ভারতীয় দলের ম্যানেজার। তিনি অনুমতি দেন, ভেবেছিলেন টেস্ট ড্র করা নিয়ে তিনি হয়তো কিছু বলবেন। এমএস অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গোটা ড্রেসিংরুমের সকলেই অবাক হয়েছিলেন। সাদা বলের ক্রিকেট কেরিয়ার দীর্ঘায়িত করতেই নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। তখন তাঁর ৩৩ বছর বয়স। ফলে শরীর যখন দেবে না, তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা উচিত দ্বিতীয়বার কিছু না ভেবে। ধোনিও জানতেন, আমরাও জানতাম, তিনি দায়িত্ব ছাড়লে বিরাটই অধিনায়ক হবেন। শুধু ঘোষণার সঠিক মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলেন এমএস।