রঞ্জি ট্রফিতে বিদর্ভ নাগপুরে গড়ল নয়া রেকর্ড! ৭৩ রানও তুলতে না পেরে গুজরাতের লজ্জার হার
রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বিদর্ভকে হারাতে গুজরাতকে দ্বিতীয় ইনিংসে তুলতে হতো ৭৩। সেই ম্যাচ বাঁহাতি স্পিনারদের দাপটে ১৭ রানে জিতে নয়া রেকর্ড গড়ল বিদর্ভ।
রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে স্মরণীয় জয় পেল বিদর্ভ। নাগপুরের জামঠায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট হবে। সেখানেই ৭৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে লজ্জার হারের সম্মুখীন হলো গুজরাত। যার জেরে ভেঙে গেল প্রায় ৭৫ বছরের পুরানো রেকর্ড। সবচেয়ে কম রানের পুঁজি নিয়েও রঞ্জি ম্যাচের জয়ের নিরিখে।
প্রথম ইনিংসে বিদর্ভ গুটিয়ে গিয়েছিল ৭৪ রানে। জবাবে গুজরাত তোলে ২৫৬। এরপর ২৫৪ রানে বিদর্ভের দ্বিতীয় ইনিংস থামিয়ে দেয় গুজরাত। তাদের জেতার জন্য দরকার ছিল ৭৩। দ্বিতীয় দিনের শেষে গুজরাতের দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৬। ফলে তৃতীয় দিনে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬৭ রান, হাতে ছিল ৯ উইকেট। কিন্তু গুজরাত এদিন শুরু থেকেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ১৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়েছিল ১৩.২ ওভারে। ২৬.২ ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৩৮। ৪২ রানে অষ্টম ও ৪৩ রানে পড়ে যায় নবম উইকেট। শেষ অবধি ৩৩.৩ ওভারে মাত্র ৫৪ রানেই শেষ গুজরাত। বিদর্ভের জয় আসে ১৮ রানে।
বাঁহাতি স্পিনার আদিত্য সারওয়াতে ১৭ রানের বিনিময়ে নেন ৬ উইকেট। ১৯৪৮-৪৯ মরশুমে জামশেদপুরে বিহারের বিরুদ্ধে দিল্লির দরকার ছিল ৭৮। কিন্তু শেষ অবধি বিহার ম্যাচ জিতে নেয়। সবচেয়ে কম রানের টার্গেট প্রতিপক্ষকে দিয়েও সফলভাবে ম্যাচ জেতার সেই রেকর্ডটি এদিন বিহারের থেকে ছিনিয়ে নিল বিদর্ভ। নাগপুরের এই মাঠেই ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট রয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই টেস্ট শুরু। খেলা হবে সেন্টার পিচে। রঞ্জি ম্যাচ হলো সাইড পিচে। তবে সেই টেস্টেও স্পিনারদের হাতেই ম্যাচের রাশ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল আরেক বাঁহাতি স্পিনার সিদ্ধার্থ দেশাই ৭৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। যার ফলে ২৫৪ রানে শেষ হয়েছিল বিদর্ভের ইনিংস। আজ দাপট দেখালেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার। সারওয়াতে প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এদিন নিলেন ৬ উইকেট। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে ১১ রানে ৩ উইকেট নেন হর্ষ দুবে, তিনিও একজন বাঁহাতি স্পিনার। গুজরাতের সিদ্ধার্থ দেশাই ছাড়া এদিন কেউ দুই অঙ্কের রান পাননি। ৮১ রানের বিনিময়ে ১১ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা সারওয়াতে। ৬ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে বিদর্ভ। তাদের পরের ম্যাচ পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে, তাতে নির্ধারিত হবে কারা নক আউটে যাবে। ৬ ম্যাচে পাঞ্জাবের রয়েছে ২৬ পয়েন্ট। ৬ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের শীর্ষে মধ্যপ্রদেশ।