রঞ্জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক সেরে নক আউটের পথে বাংলা, ব্যাটে-বলে কামাল সায়নের, মন্ত্রী মনোজের অর্ধশতরান
রঞ্জি ট্রফিতে জয়ের হ্যাটট্রিক সেরেই নক আউট পর্বের দিকে এগোচ্ছে বাংলা। কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলার রানের চেয়ে এখনও ৩০৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে চণ্ডীগড়। হাতে মাত্র চারটি উইকেট। আজ বাংলার সেরা পারফর্মার সায়নশেখর মণ্ডল ব্যাট হাতে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকার পর বল করতে গিয়ে দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলা ১১৫.৩ ওভারে ৪৩৭ রান তোলার পর দিনের শেষে মনন ভোরার নেতৃত্বাধীন চণ্ডীগড় দিনের শেষে ৫২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তুলেছে। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হার্নুর সিং ওপেন করতে নেমে ১৫ রান করে মুকেশ কুমারের বলে বোল্ড হন পঞ্চম ওভারে দলের ২১ রানের মাথায়। এরপর মনন ভোরা ও অপর ওপেনার আর্সলান খান ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ৭১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো চণ্ডীগড় ১০৫ রানের মাথায় হারায় ষষ্ঠ উইকেট। ৯৭ রানে পড়েছিল চতুর্থ উইকেটটি। মনন ৩৫, অমৃত লাল লুবানা ১০, জসকরন সোহি শূন্য ও গুরিন্দর সিং ৪ রানে আউট হন। অঙ্কিত কৌশিক ৩০ ও গৌরব গম্ভীর ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। নীলকণ্ঠ দাস ১৪ ওভারে ৪টি মেডেন-সহ ২৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট দখল করেন। সায়নশেখর মণ্ডল ১০ রান দিয়ে ২টি উইকেট পান। মুকেশ কুমার পেয়েছেন ১টি উইকেট। ঈশান পোড়েল ও শাহবাজ আহমেদ ভালো বোলিং করলেও উইকেট পাননি এখনও।
এর আগে বাংলা ৪৩৭ রান করেছে প্রথম ইনিংসে। সায়নশেখর মণ্ডল পার্টনারের অভাবে শতরান পেলেন না। ১৩টি চারের সাহায্যে ১৪২ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলার ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অবশেষে রানে ফিরলেন। চারটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে মনোজ করেন ৯৯ বলে ৫৩। মুকেশ কুমার করেন ২৮। ঈশান ও নীলকণ্ঠ উইকেটে টিকে থাকলে আটে নামা সায়নের শতরান বাধাই ছিল। সায়ন বলেন, বাংলা দলে ফিরে এবং দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা জেতার জন্য বদ্ধপরিকর। প্রথমদিকে বল মুভ করছিল। মনোজ তিওয়ারি গাইড করেছেন। ধৈর্য্য ধরে রাখতে বলেছিলেন। তিনি বলছিলেন, উইকেটে থিতু হতে পারলেই রান আসবে। শতরান হাতছাড়া করার জন্য আক্ষেপ নেই সায়নের।
মনোজ তিওয়ারি বলেন, দলগতভাবে আমরা ভালোই খেলছি। এই ম্যাচের আগে অবধি প্রত্যাশিতভাবে আমরা ব্যাট করতে পারছিলাম না। এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। বোলারদের হাতে যাতে ভালো রানের পুঁজি থাকতে পারে, বড় রান ডিফেন্ড করা যায় সেটাই লক্ষ্য ছিল। বোলাররাও ভালো ছন্দে রয়েছেন, দুই ইনিংসে ২০ উইকেট আসছে। ঈশ্বরন, অনুষ্টুপ গতকাল দারুণ খেলেছিলেন। আজ সায়নও অনবদ্য খেলেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে গোটা দল কঠোর পরিশ্রম করেছে। ক্রিকেটাররা ভালো খেলায় প্রত্য়াশিত ফলও পাচ্ছি। কাল দ্রুত চার উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের জন্য ঝাঁপানোই লক্ষ্য বাংলা শিবিরের।