রাহুল দ্রাবিড় ভারতের হেড কোচ হতে চেয়ে আবেদন করলেন, আনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণাই শুধু বাকি
টি ২০ বিশ্বকাপের পরই ভারতের হেড কোচের দায়িত্ব থেকে সরছেন রবি শাস্ত্রী। মেয়াদ শেষে সরানো হচ্ছে সাপোর্ট স্টাফদেরও। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব জয় শাহরা দুবাইয়ে আইপিএল ফাইনালের সময় রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে রাজি করিয়েই ফেলেছিলেন। তারপর কোচ ও বিভিন্ন সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগের জন্য আবেদন জমার ব্যবস্থা করে বিসিসিআই। আজ শেষদিনে রাহুল দ্রাবিড়ের আবেদন জমা পড়ার পর কোচ হিসেবে তাঁর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাই শুধু বাকি।
রাহুল দ্রাবিড় ভারতের কোচ হতে পারেন বলে অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছে। যদিও শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতের সীমিত ওভারের দল নিয়ে গেলেও ভারতের কোচ হওয়ার চেয়ে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমির প্রধানের দায়িত্ব সামলানোই বেশি পছন্দ ছিল দ্রাবিড়ের কাছে। কিন্তু সৌরভ-জয় শাহরাই দ্রাবিড়ের মত বদলানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন। তারপরও সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিসিসিআই সভাপতি বলেন, দ্রাবিড় কোচ হচ্ছেন এই খবর সংবাদমাধ্যমে দেখছি। দ্রাবিড় এনসিএতেও ভালো কাজ করেছেন। ভারতের যে শক্তিশালী দল গড়া সম্ভব হচ্ছে তাতে এনসিএর ভূমিকা রয়েছে। দেখা যাক, তিনি কোচ হতে চেয়ে আবেদন করেন কিনা। দ্রাবিড়কে কোচ নিয়োগের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে সংবাদমাধ্যমে বলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও।
বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন, দ্রাবিড়ের আবেদন করাটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আর কোনও বড় নাম হেড কোচ হতে চেয়ে আবেদন করেননি। ফলে দ্রাবিড়ই কোচ হচ্ছেন। এনসিএতে দ্রাবিড়ের যে টিম রয়েছে, সেই বোলিং কোচ পরম মামব্রে ও ফিল্ডিং কোচ অভয় শর্মাও টিম ইন্ডিয়ার সংশ্লিষ্ট পদের জন্য আবেদন করেছেন। তবে ফিল্ডিং কোচের জন্য আবেদন করেছেন প্রাক্তন জাতীয় উইকেটকিপার অজয় রাতরাও। কিন্তু দ্রাবিড়ের টিমই যদি টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নেয় তাহলে রাতরার সম্ভাবনা কমই থাকবে। টি ২০ বিশ্বকাপের পর ভারত সফরে আসবে নিউজিল্যান্ড। সেই সিরিজে টি ২০ অধিনায়ক হতে চলেছেন রোহিত শর্মাই। এই সিরিজ থেকেই ২০২৩ সাল অবধি ভারতের হেড কোচ হতে চলেছেন দ্রাবিড়।
দ্রাবিড় বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা হওয়ায় এনসিএ-র ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাতে তাঁর সুবিধাই হচ্ছিল। তিনি ভারতের কোচ হলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা। জানা গিয়েছে, ভিভিএস লক্ষ্মণ প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব ফেরালেও তাঁকে ফের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বিসিসিআইয়ের তরফে। ভারতীয় দলের কোচকে এনসিএ ডিরেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগরক্ষা করেই এগোতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটের কথা ভেবে। লক্ষ্মণ এনসিএ ডিরেক্টর হলে তাঁকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর, ধারাভাষ্যকার ও কলাম লেখার সব কাজ ছাড়তে হবে। লক্ষ্মণকে অন্তত ২০০ দিন বেঙ্গালুরুতেও থাকতে হবে। ফলে সেইমতো তাঁর বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে। আর লক্ষ্মণ যদি এনসিএ ডিরেক্টরের পদ নিতে না চান, তাহলে সেই পদের জন্য ভাবা হবে অনিল কুম্বলের নাম। সেক্ষেত্রে কুম্বলেকে ছাড়তে হবে পাঞ্জাব কিংসের কোচিংয়ের দায়িত্ব।