টি ২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভরাডুবির জের, কোচের পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ফিল সিমন্সের
টি ২০ বিশ্বকাপে দু-বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারাই এবার ছিটকে গিয়েছে প্রথম রাউন্ড থেকে। গত টি ২০ বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিয়েছিল ক্যারিবিয়ান বাহিনী। এবার সুপার টুয়েলভে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় নিকোলাস পুরাণের দলকে খেলতে হয়েছিল প্রথম রাউন্ড। যদিও সেখান থেকেই বিদায় নিতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। দলের ব্যর্থতা নিয়ে কাটাছেঁড়ার মধ্যেই কোচের পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ফিল সিমন্স।
প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে হারালেও স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের কাছে টি ২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। এই ব্যর্থতা শুধু ক্রিকেট দলকে নয়, গোটা দেশকেই আঘাত দিয়েছে বলে উপলব্ধি হতাশ সিমন্সের। হৃদয়বিদারক ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমরা ভালো খেলতে পারিনি। এখন বাইরে থেকেই এই টুর্নামেন্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে, টুর্নামেন্ট চলবে কিন্তু আমরা সেখানে নেই। এই ব্যর্থতার কারণ আমার কাছে দুর্বোধ্য। আমি ফ্যান ও ফলোয়ারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
সিমন্স এর আগে ১৮ মাসের জন্য ক্যারিবিয়ান দলের হেড কোচ হয়েছিলেন, সেই সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১৬ সালের টি ২০ বিশ্বকাপ জেতে। এরপর ফের তিনি দলের দায়িত্ব পান ২০১৯ সালের অক্টোবরে। কিন্তু গত বছরের পর এবারও ব্যর্থ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিমন্সের কোচিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের মধ্যে ছক্কা মারার প্রবণতা স্পষ্ট হয়েছিল। তাঁর কোচিংয়ে টেস্ট দলের পারফরম্যান্সও উন্নত হয়। চলতি বছর ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজে জেতে। তবে টি ২০ বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত সাফল্য আসেনি। গত টি ২০ বিশ্বকাপে পাঁচটির মধ্যে চারটিতেই হেরে গিয়েছিল কায়রন পোলার্ডের ওয়েস্ট ইন্ডিজয একঝাঁক তারকাহীন এবারের দলও হতাশ করল।
সিমন্সের ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ হিসেবে শেষ সিরিজ হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজ। ৩০ নভেম্বর থেকে পারথের অপটাস স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরু। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি ২০ বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার যে ময়নাতদন্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে তাতে তিনি সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন সিমন্স। কয়েকদিন ধরে ভেবেচিন্তেই তিনি এই পদক্ষেপ করলেন বলেও জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায়ী হেড কোচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলের প্রতি প্রাক্তন ক্রিকেটার হেড কোচ হিসেবেও যে অবদান রেখেছেন তার প্রশংসা করেছে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড।