হ্যামিল্টনে হারা ম্যাচে তৈরি হল লজ্জার চার কাহন - শ্রীনাথকে মনে করালেন হায়েস্ট স্কোরার চাহাল
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর ভারতের কিছু লজ্জাজনক ব্যাটিংয়ের পরিসংখ্যান।
মাউন্ট মাউনগানুইয়ে তৃতীয় ম্যাচেই সিরিজ জয়ের পর সুনীল গাভাস্কার ঠাট্টা করে বলেছিলেন এই কিউই ব্যাটিংকে বল করার থেকে ভুবনেশ্বর কুমারদের নেটে ভারতীয় ব্য়াটসম্যানদের বল করা কঠিন হয়। ক্রিকেট দেবতা বোধহয় ঠাট্টাটা ভালভাবে নেননি। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে চতুর্থ ম্যাচেই পুরো মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতীয় ব্য়াটিং।
মাত্র ৩০.৫ ওভার টিকল ভারতের ইনিংস। ৯২ রান তুলতে না তুলতেই ১০ ব্য়াটসম্যানই ধরলেন প্যাভিলিয়নের পথ। প্রথম ৬ ব্যাটম্য়ানের ৫ জনই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। সর্বোচ্চ রান করলেন ১০ নম্বরে নামা চাহাল (১৮)। ইদানিং প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ভারতীয় দল দুর্দান্ত সব রেকর্ড-সহ জয়ী হয়েছে। এদিন এমন পরাজয় ঘটল যে তৈরি হল বেশস কয়েকটি লজ্জার রেকর্ডও।
সবচেয়ে বড় হার
এদিন ২১২ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। বল বাকি থাকার নিরিখে এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় হার। এর আগে সবচেয়ে বড় হার ছিল ২০১০ সালে ডাম্বুলাতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ২০৯ বল বাকি রেখে জিতেছিল সিংহলিরা। ১০৪ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছিল ১৫.১ ওভারে।
সপ্তম সর্বনিম্ন
একদিনের ক্রিকেটে ভারতের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস ৫৪। বৃহস্পতিবার একসময় ৪০ রানে ভারতের ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তখন মনে হচ্ছিল এই রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত তা না হলেও এদিনের ৯২ রান, ভারতের সর্বনিম্ন রানের ইনিংসের তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে। ২০১০ সালে এই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত ৮৮ রানে অলআউট হযে গিয়েছিল। তার পর থেকে এটাই ভারতের সবচেয়ে কম রানের ইনিংস।
শ্রীনাথকে মনে পড়ালেন চাহাল
এদিন ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অপরাজিত ১৮ করে চাহালই হন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। এর আগে এরকম ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৮ সালে। ভারতের ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে জাভাগাল শ্রীনাথ পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৩ রান করেছিলেন। ভারত তুলেছিল ১৮০।
সর্বনিম্ন মিডল অর্ডার
এদিন ভারতের মিডল অর্ডার অর্থাত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ব্যাটসম্য়ানের সংগ্রহ মাত্র ১ - রায়ডু - ০, কার্তিক -০, কেদার -১। এই রানটা একদিনের ক্রিকেটে ভারতের মিডল অর্ডারের সর্বনিম্ন রান। এর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়নে ভারতের মিডল অরডার করেছিল ২ রান। এতদিন সেটাই ছিল সর্বনিম্ন।