মহারাজের কথা মেনে সিএবি'কে নতুন জমি দিল রাজ্য, ডুমুরজলার বদলে রাজারহাটে হবে ইডেনসম বিশাল স্টেডিয়াম
অনেক ঘুরে ফিরে সেই রাজারহাটেই যেতে হল সিএবি'কে। রাজ্য সরকার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন অফ বেঙ্গলকে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য নতুন জমি দিল। আর সেই জমি দেওয়া হল রাজারহাটে। এই স্টেডিয়াম তৈরির জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছিল রাজ্য সরকার।
এর আগে এর জন্য জমি দেওয়া হয়েছিল হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে। সেই অনুযায়ী কাজও শুরু হয়েছিল। মাঠের ভিতরে ফলকও দিয়েছিল হিডকো কিন্তু সৌরভ পরে এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে বলেন ওই জমিতে স্টেডিয়াম তৈরি সম্ভব নয়। ওই জমি আর যাই হোক একটা বড় স্টেডিয়াম তৈরির জন্য এর মাটি উপযুক্ত নয়, কারণ গোটা জায়গাটিই ছিল জলা জমি অঞ্চল। সেটাই মাটি পরে মাঠ হয়েছে। এলাকার বহু মানুষ সেখানে খেলাধুলো করেন। পাশে এখনও বিশাল এলাকায় জলা জমি রয়েছে। সেখানে হিডকোর উনয়নের কাজ চলছে। এমন জলা জমিতে স্টেডিয়ামের ভিত ভালো হবে না বলে মনে করেন সৌরভ এবং তা জানান মমতা বন্দ্যোপধ্যায়কে। তখন থেকে রাজ্য সরকারও খুঁজছিল যে কোথায় সিএবি'কে স্টেডিয়াম তৈরির জমি দেওয়া যায়। সেই জমির খোঁজ পেয়েছে রাজ্য এবং সিএবি'কে রাজারহাটে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য জমি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিলের ঘটনা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে। তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে যে ডুমুরজলায় স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে না, কারণ সৌরভ বলেছিলেন যে ওই জমি স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ভালো নয়। তারপর থেকেই খোঁজ চলছিল নতুন জমির। জমি মিলেছে রাজারহাটে। তা সিএবি'কে জানানো হয়েছে। সেখানেই তৈরি হবে স্টেডিয়াম। জানা গিয়েছে এটি ইডেনের মতোই বড় করে তৈরি করা হবে। তবে কবে এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত , স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ডুমুরজলায় যে কাজ হচ্ছিল তা নিয়ে বিপুল বিতর্ক চলছিল। এলাকার মানুষ একজোট হয়ে প্রতিবাদ করতে থাকেন যা এলাকা থেকে সবুজ ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। হাওড়ার অক্সিজেন ডুমুরজলাকে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে এমন নান স্লোগান তুলে সোচ্চার হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। কারণ স্বাভাবিকভাবেই এমন কোনও স্টেডিয়াম তৈরি হলে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের জন্য সেখানে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ হয়ে যেত। তা নিয়েই ডুমুরজলা মাঠ রক্ষা কমিটি নাগাড়ে লড়াই করে যায়। হয়েছিল মানব বন্ধন করে প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদের ফলেই কী সেখান থেকে স্টেডিয়াম তৈরির জায়গা পরিবর্তন হয় কি না তা স্পষ্ট নয় তবে ওই স্থান পরিবর্তন এলাকার মানুষের একটা নৈতিক জয় তা বলা যেতেই পারে।