ধোনিকে আইডল মানলে কমবে মোবাইলে আসক্তি! হেটমায়ারের মতো ভুলে মাহির শাস্তির কথা জানেন?
টি ২০ বিশ্বকাপ থেকে ছাঁটাই হয়েছেন শিমরন হেটমায়ার। আইপিএলে আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকা অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার বিমান দু-বার ধরতে পারেননি। সে কারণে তাঁকে টি ২০ বিশ্বকাপের দল থেকেও বাদ দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেটমায়ার নিজে এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে তাঁর স্ত্রীর কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, এটাই আসল কারণ নয়। দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে হেটমায়ারের সম্পর্ক নিয়ে চলছে জল্পনা।
হেটমায়ার ও ধোনি
হেটমায়ারই সম্ভবত বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার যিনি বিমান ধরতে না পারায় বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়লেন। তবে তিনি প্রথম ক্রিকেটার নন, যিনি ফ্লাইট মিসের জেরে কোনও ম্যাচ বা সিরিজের খেলার সুযোগ হাতছাড়া করলেন। ভারতে এই উদাহরণ রয়েছে এবং সেই ক্রিকেটার আর কেউ নন খোদ মহেন্দ্র সিং ধোনি। যাঁর নেতৃত্বে ভারত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সমস্ত আইসিসি ইভেন্ট জিতেছে।
বিমান না ধরতে পারায় বাদ
ধোনির ফ্লাইট মিস করার জেরে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মিস করার ঘটনা দেখানো হয়েছে তাঁর বায়োপিক এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরিতে। সেটা ২০০১ সাল। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলে ধোনি সুযোগ পাননি। তবে দলীপ ট্রফির পূর্বাঞ্চল দলে সুযোগ পান। বায়োপিকে দেখানো হয়েছে, ধোনি সঠিক সময়ে জানতে পারেননি পূর্বাঞ্চল দলে সুযোগের বিষয়টি। যখন জানতে পারেন তখন দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় ছিল না।
খেলতে পারেননি দলীপের ম্যাচ
সঠিক সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে না পারায় ধোনি বিমান ধরতে পারেননি। পূর্বাঞ্চলের ম্যাচ ছিল সচিন তেন্ডুলকরের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে। ধোনি দলের সঙ্গে যোগ দিলেও ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি। সেই ম্যাচে সচিন ১৯৯ ও বিনোদ কাম্বলি ১১৭ রান করায় পূর্বাঞ্চল ৬৫৬ রান তোলে। শেষ অবধি পূর্বাঞ্চল ইনিংস ও ৩৬৩ রানে পরাস্ত হয়। এই ঘটনার বছর তিনেক পর, ২০০৪ সালে ধোনি দেশের হয়ে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেন। সেই বছর ধোনি দলীপ ট্রফি ফাইনালে তারকাখচিত উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে পূর্বাঞ্চলের হয়ে ওপেন করেছিলেন।
মোবাইল-আসক্তি কমাতে
ধোনি সম্পর্কে অনেকেই যেটা জানেন না তা হলো তাঁর মোবাইলের প্রতি আসক্তি না থাকা। ২০১৮ সালে বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। এই কয়েক বছরে সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে। সমীক্ষায় প্রকাশ, মানুষ গড়ে ২ ঘণ্টা মোবাইল নিয়ে কখনও লাইক, শেয়ার করছেন, কখনও মেল চেক করা-সহ নানা কাজে ব্যস্ত। মোবাইলের প্রতি আসক্তি ডেকে আনছে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। অনেকে খুঁজছেন মোবাইলের আসক্তি কাটানোর উপায়। এ ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিং ধোনি হতে পারেন আপনার আইডল। ধোনি মোবাইল ফোন বেশিরভাগ সময়ই নিজের কাছে রাখেন না। তাঁর ফোন নম্বরও খুব কম লোকের কাছে রয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ভারতের প্রাক্তন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী বলেছিলেন, আজ অবধি আমার কাছে ধোনির নম্বর নেই। তাঁর কাছে নম্বর চাইনি। কারণ আমি জানি ধোনি নিজের কাছে ফোন রাখেন না। ফলে ধোনির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে আগে জানতে হবে কীভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।