মহেন্দ্র সিং ধোনির হাঁটুর যন্ত্রণার উপশম মাত্র ৪০ টাকায়! শোরগোল রাঁচিতে
মহেন্দ্র সিং ধোনি এখন রাঁচিতে। আগামী মরশুমেও তিনি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসকে নেতৃত্ব দেবেন। তার আগে ধোনি নিজেকে ফিট রাখার পথে অবিচল। যদিও প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে ভোগাচ্ছে হাঁটুর যন্ত্রণা। সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ধোনি এক বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপাতত অ্যালোপ্যাথি ওষুধ বা অস্ত্রোপচারের দিকে না গিয়ে তিনি আস্থা রেখেছেন রাঁচিরই এক চিকিৎসকের উপর।
একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাঁটুর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তিনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। মাত্র চল্লিশ টাকা খরচ করেই ধোনি সমস্যা থেকে মুক্ত পাবেন বলেও জানা গিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই হাঁটুর যন্ত্রণা ধোনিকে ভোগাচ্ছে। বিভিন্ন বিকল্প থাকলেও ধোনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেই আস্থা রেখেছেন। রিপোর্টে উল্লেখ, রাঁচি থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে ঘন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত লাপুংয়ের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বন্দন সিং খেরভার ধোনির চিকিৎসার তদারকি করছেন। তিনি জরিবুটি দিয়ে সারিয়ে তোলেন বহু রোগ। খোলা আকাশের নীচে সামিয়ানা খাটিয়ে রোগী দেখেন এই বৈদ্য।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণেই তাঁর হাঁটুতে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে চিকিৎসককে জানিয়েছেন ধোনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খেরভার জানান, আমি কনসালটেশন ফি হিসেবে ধোনির থেকে ২০ টাকা নিয়েছি, আর ২০ টাকার ওষুধ কিনতে বলেছি। মাসখানেক ধরেই ধোনির এই চিকিৎসা চলছে। যদিও ঠিক কবে ধোনি প্রথম তাঁর কাছে এসেছিলেন তা সঠিকভাবে মনে করতে পারেননি ওই চিকিৎসক। প্রথম দিন যেদিন ধোনি এই বৈদ্যর কাছে গিয়েছিলেন সেদিন তিনি চিনতেই পারেননি বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে। পরে ধোনির এক ঘনিষ্ঠ ওই চিকিৎসককে বলেন, হাঁটুর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তাঁকে দেখাচ্ছেন ধোনিই। তারকাসুলভ কোনও দেখনদারি ধোনির মধ্যে ছিল না। উল্লেখ্য, ধোনির বাবা-মায়ের চিকিৎসাও বিগত তিন মাস ধরে করছেন এই চিকিৎসক। মনে করা হচ্ছে, ইতিবাচক ফল মেলাতেই ধোনিও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।
ধোনি যখন ওই চিকিৎসকের কাছে ওষুধ নিতে বা কোনও প্রয়োজনে যাচ্ছেন তখন তাঁকে ওই অঞ্চলের মানুষজনও সামনে থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। অবশ্য কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এতে তৈরি হয়নি। ধোনি গাড়িতেই থাকছেন এবং ভক্তদের সেলফি তোলার আবদারও মেটাচ্ছেন হাসিমুখেই। পরপর চারদিন ধোনিকে ওষুধ দিতে হতো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পরের দিকে ধোনি গাড়ি থেকে নামেননি, তাঁর গাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হয় ওষুধ।