হার্দিকের পিচ নিয়ে অসন্তোষের জের, চাকরিই গেল লখনউয়ের কিউরেটরের
লখনউয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে স্লো ও টার্নিং উইকেট বানানো হয়েছিল। ফ্রেশ উইকেট বানানোর পর্যাপ্ত সময় মেলেনি। পিচ নিয়ে সমালোচনা শুরু হতেই কিউরেটরকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
ভারত-নিউজিল্যান্ড টি ২০ সিরিজ এখন ১-১, কাল ফয়সালা হবে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। রাঁচিতে ভারত হেরেছিল, লো স্কোরিং ম্যাচে লখনউয়ে কষ্টার্জিত জয় ছিনিয়ে সমতা ফিরিয়েছে মেন ইন ব্লু। এরপরই প্রথম দুটি টি ২০ আন্তর্জাতিকের পিচ নিয়ে সরব হন ভারত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। অবশেষে চাকরি গেল লখনউয়ের কিউরেটরের।
লখনউয়ে দ্বিতীয় টি ২০ আন্তর্জাতিকে নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৯৯ তোলে। ভারত লক্ষ্যে পৌঁছয় ১ বল বাকি থাকতে। ৪০ ওভারের মধ্যে ৩০ ওভারই বল করেন স্পিনাররা। যা নতুন রেকর্ড। কোনও ক্রিকেটার একটিও ছয় মারতে পারেননি। বাউন্ডারির সংখ্যাও টি ২০ সুলভ নয়। উইকেট দেখে অনেক বিশেষজ্ঞও লখনউয়ের পিচ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। হার্দিক তো পিচকে 'শকার' আখ্যা দেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ধরনের উইকেট টি ২০-র পক্ষে অনুপযুক্ত। এমন পিচ দেখে তাঁরা যে হতবাক ও স্তম্ভিত সেটাই বুঝিয়ে দেন ভারত অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক ম্যাচের পিচ আগেই তৈরি করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন হার্দিক।
পিচ নিয়ে সমালোচনার ঝড়ের মুখে শেষ অবধি উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নড়েচড়ে বসল। সরিয়ে দেওয়া হলো কিউরেটরকেই। অভিজ্ঞ কিউরেটর সঞ্জীব কুমার আগরওয়ালের হাতেই উইকেট তৈরির ভার দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউপিসিএ। এক মাসের মধ্যে লখনউয়ের পিচের মান বদলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। আইপিএলে এবার লখনউয়েও খেলা হবে। তখন যাতে পিচ নিয়ে কোনও অভিযোগ না ওঠে সে কারণেই তড়িঘড়ি এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কতটা কাজের কাজ হবে তা বলবে সময়।
উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, এই টি ২০ আন্তর্জাতিকের আগে লখনউয়ের সেন্টার উইকেটে ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক ম্যাচ হয়েছে। তবে কিউরেটরের উচিত ছিল আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য একটি বা দুটি উইকেট রেখে দেওয়া। কিন্তু তিনি সেটা তিনি করেননি। যে কারণে অত্যধিক ব্যবহৃত পিচেই ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি করাতে হয়। তার আগে আবহাওয়া খারাপ থাকায় ফ্রেশ পিচ তৈরির পর্যাপ্ত সময়ও পাওয়া যায়নি। জানা যাচ্ছে, বিসিসিআই কিউরেটর তাপস চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পিচ তৈরির কাজ চালাবেন সঞ্জীব আগরওয়াল। তিনি আগেও কিউরেটরের দায়িত্বে ছিলেন, বাংলাদেশেও পিচ তৈরির অভিজ্ঞতা রয়েছে। এদিকে, ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা আমেদাবাদে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পিচ টি ২০-র পক্ষে উপযুক্তই হবে, কোনও সমস্যা হবে না।