প্রতিপক্ষের মাথায় হাত চালিয়ে লাল কার্ডের পর দুই ম্যাচ সাসপেন্ড মেসি!
প্রতিপক্ষের মাথায় হাত চালিয়ে লাল কার্ডের পর দুই ম্যাচ সাসপেন্ড মেসি!
লিওনেল মেসির হলটা কী! হারের হতাশা নাকি দলের প্রতি ক্ষোভে মাঠের ভিতর এবং বাইরে বারবার মাথা গরম করে ফেলছেন বার্সেলোনার তারকা, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবল মহলে। স্প্যানিশ লা লিগার যে ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল আর্জেন্টাইন তারকাকে, সেই ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলারের সঙ্গে হাতাহাতি জড়িয়ে নিজের জন্য আরও বিপদ ডেকে আনলেন এলএম টেন।
সুপার কাপের ফাইনালে হার বার্সার
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে অ্যাথলেটিক ক্লাব বিলবাও-এর বিরুদ্ধে কঠিন ও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে হার স্বীকার করতে হয় বার্সেলোনাকে। ৩-২ গোলে ম্যাচের ফয়সলা নির্ধারিত হয়। ম্যাচের ৪০ এবং ৭৭ মিনিটে বার্সার হয়ে গোল দেন আন্টোনিও গ্রিজম্যান। অন্যদিকে ৪২, ৯০ ও ৯৩ মিনিটে বিলবাও-এর হয়ে গোলগুলি করেন যথাক্রমে অস্কার ডে মার্কস, আসিয়ার ভিল্লালিব্রে এবং ইনাকি উইলিয়ামস।
মেসিকে লাল কার্ড
গোল পাননি, বরং অ্যাথলেটিক বিলবাও ফুটবলারদের কড়া ট্যাকেলে খেলার একদম অন্তিম মুহুর্তে (১২০+১ মিনিট) মাথা গরম করে লাল দেখেন লিওনেল মেসি। উত্তেজিত তারকা প্রতিপক্ষ দলের ফরোয়ার্ড আসিয়ার ভিল্লালিব্রের মাথায় ডান-হাত চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এলএম টেনকে তখনই মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি।
দুই ম্যাচ সাসপেন্ড মেসি
পরে বার্সেলোনা ও অ্যাথলেটিক বিলবাও ম্যাচের রেকর্ডিং খতিয়ে দেখেছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। সুুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ ও বিবেচনার প্রেক্ষিতে লিওনেল মেসিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ওই সংস্থা। শাস্তি হিসেবে আর্জেন্টাইন তারকাকে দুই ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর অর্থ কোপা দেল রে প্রতিযোগিতায় করনেলা ও লা লিগায় এলচের বিরুদ্ধে বার্সার জার্সিতে মাঠে নামতে পারবেন না এলএম টেন।
মেসির ক্লাব কেরিয়ারে প্রথম লাল কার্ড
২০০৪ সাল থেকে বার্সেলোনা সিনিয়র দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন লিওনেল মেসি। প্রায় ১৭ বছরে একই ক্লাবের হয়ে ৭৫২টি ম্যাচ খেলে লাল কার্ড দেখতে হয়নি আর্জেন্টাইন তারকাকে। ৭৫৩তম ম্যাচে যে তাঁকে এভাবে লজ্জার মুখে পড়তে হবে, তা হয়তো বছর শুরুর আগে ভাবেননি লিওনেল মেসি।