IPL 10 : জ্বলে উঠল ধোনির ব্যাট, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ২০ রানে হারিয়ে ফাইনালে পুনে
পুনের বিরুদ্ধে ফের ম্যাচ হারতে হল মুম্বইকে। এদিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে চলে গেল পুনে। হেরে গিয়ে মুম্বইকে প্লে অফ কোয়ালিফায়ারের আর একটি ম্যাচ খেলতে হবে। সেটিতে জিতলে তবেই ফাইনালে যাবে মুম্বই।
রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের শক্ত গাঁটে ফের আটকে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই নিয়ে এই মরশুমে তিনটি ম্যাচ খেলতে নেমে তিনবারই হারল মুম্বই। প্রথমে ব্যাট করে পুনে ১৬২/৪ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মু্ম্বই ১৪২/৯ রানে শেষ করল। ফলে ম্যাচ হারতে হল ২০ রানে। এবং ম্যাচ জিতে ফাইনালে চলে গেল পুনে।
ঘরের মাঠে এদিন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবং রোহিত যেমন চেয়েছিলেন সেরকমই শুরু করেন মুম্বই বোলাররা। মাত্র ৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট খোয়া যায়।
পুনের সবচেয়ে বেশি রান করা দুই ব্যাটসম্যান রাহুল ত্রিপাঠী (০) ও অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ (১) ফিরে যান ২ ওভার শেষ হওয়ার আগেই। তবে এখান থেকে খেলা ধরেন অজিঙ্ক রাহানে ও মনোজ তিওয়ারি।
এই বছরের আইপিএলে রাহানের রান বলতে ছিল এই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই একটিমাত্র অর্ধশতরান। সেই মু্ম্বইয়ের বিরুদ্ধেই ফের জ্বলে উঠল রাহানের ব্যাট। ৪৩ বলে ৫৬ রান করে ফিরলেন তিনি। তবে তার আগে মনোজের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান তিনি।
রাহানে ফিরে যাওয়ার পরে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন মনোজ। দুজনে সিঙ্গলস নিয়ে স্কোর বোর্ড সচল রাখলেও বাউন্ডারি আসছিল না কিছুতেই। টিপিক্যাল মুম্বই উইকেটের বদলে এদিনের উইকেট বেশ স্লো ছিল। বল পড়ে ব্যাট আসছিল না।
ধোনি মনোজের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ায় বেশ স্লো ছিলেন। প্রথম ১৮ বলে করেন মাত্র ১৪ রান। কিছুতেই যেন ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। এর মধ্যেই ৯টি ডট বল খেলে ফেলেন তিনি।
একসময়ে ১৮ ওভারে মাত্র ১২১ রান ওঠে পুনের। যখন মনে হচ্ছিল পুনেকে ১৩৫-১৪০ রানের মধ্যে গুটিয়ে দেওয়া যাবে, ঠিক তখনই গর্জে ওঠে মনোজ ও ধোনির ব্যাট। মিচেল ম্যাকক্লেনেঘনের বলে ১৯তম ওভারে ২৬ রান নেন দুজনে। ধোনি ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক।
এরপরে শেষ ওভারে জসপ্রীত বুমরাহর বলে দুটি বিশাল ছক্কা মারেন ক্যাপ্টেন কুল। শেষপর্যন্ত মাত্র ২৬ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। এদিকে মনোজ ফের একবার নিজেকে প্রমাণ করলেন। ৪৮ বলে ৫৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ২০তম ওভারের শেষ বলে আউট হন তিনি। সবমিলিয়ে পুনে ৪ উইকেটে ১৬২ রানে থামে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। মাত্র ৫ রান করে আউট হন লেন্ডল সিমন্স। ক্রিজের অন্যপ্রান্তে তখন ব্যাটে আগুন ঝরাচ্ছেন পার্থিব প্যাটেল। তবে অন্য প্রান্ত থেক পরপর উইকেট পড়তে থাকে।
একে একে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা (১), অম্বাতি রায়াডু (০) ও কায়রন পোলার্ড (৭)। এবং তিনটি উইকেটই নেন তরুণ ভারতীয় স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর। ফলে মাত্র ৫১ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট পড়ে যায় মুম্বইয়ের। এরপরে দলের ৭৫ রানের মাথায় হার্দিক পাণ্ড্য ১৪ রান করে আউট হন।
এরপরে আর কেই দাঁড়াতে পারেননি। ক্রুণাল পাণ্ড্য (১৫), মিচেল ম্যাকক্লেনেঘন (৫), করণ শর্মা (৪) প্রত্যেকেই ব্যর্থ হন। শেষপর্যন্ত রানে ১৪২/৯ রানে থামে মুম্বই ইনিংস। পুনে ম্যাচ জেতে ২০ রানে।
এদিনের জয়ের ফলে পুনে সরাসরি আইপিএল ফাইনালে চলে গেল। হেরে গিয়ে মুম্বইকে প্লে অফ কোয়ালিফায়ারের আর একটি ম্যাচ খেলতে হবে। সেটিতে জিতলে তবেই ফাইনালে যাবে মুম্বই। আর সেই ম্যাচে হেরে গেলে বিদায় নিতে হবে রোহিত শর্মার দলকে।
{promotion-urls}