অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের শেষ পোস্ট ভাইরাল! কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমান্বয়ে জুড়ল তিন অজি কিংবদন্তির প্রয়াণ?
মার্চ থেকে মে। দুই মাসের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট হারাল তিন কিংবদন্তিকে। প্রথমে রডনি মার্শ। তার পরের দিনই শেন ওয়ার্ন। আর ওয়ার্নের মৃত্যুর ঠিক ২ মাস ১০ দিনের মাথায় সকলের ঘুম ভাঙল অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মৃত্যুসংবাদ দিয়ে। শনিবার রাতে গাড়ি দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ হারান ক্রিকেটের বর্ণময় চরিত্র সাইমন্ডস। সাইমন্ডসের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে খেলা তাঁর স্মরণীয় শতরানের ভিডিও পোস্ট করেছে আইসিসি।
|
ওয়ার্নের শেষ টুইট
দীর্ঘ রোগভোগের পর ৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত হন রডনি মার্শ। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছিলেন শেন ওয়ার্ন। মার্শের মৃত্যুর পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেও তাইল্যান্ডের হোটেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ওয়ার্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর শেষ পোস্টটি ছিল রডনি মার্শকে নিয়েই। ওয়ার্নের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরই সহযোদ্ধা সাইমন্ডস। কাকতালীয় হলেও দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও ক্রমান্বয়ে জুড়ে দিল তিন কিংবদন্তির প্রয়াণকেই।
সাইমন্ডসের শেষ পোস্ট
ওয়ার্নের শেষ টুইটটি যেমন ছিল মার্শকে নিয়ে, ঠিক তেমনই ওয়ার্নকে নিয়ে ইনস্টাগ্রাম পোস্টের পর সাইমন্ডস আর কোনও পোস্ট করেননি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লিখেছিলেন, আমি বিধ্বস্ত। আমি প্রার্থনা করছি যা শুনছি তা যেন দুঃস্বপ্ন হয়। ভাবতেই পারছি না ওয়ার্নের সঙ্গে আর দেখা হবে না। আমি বাকরুদ্ধ। পরিবারের সকলের প্রতি আমার ভালোবাসা রইল। ওয়ার্নের প্রয়াণের শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের শোকের আবহ অস্ট্রেলিয়া তথা ক্রিকেট-বিশ্বে। শুধু কি তাই? সমাজের নানা জগতের মানুষ সাইমন্ডসের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করছেন।
লিয়ঁর সঙ্গে কথা
এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অফ-স্পিনার নাথান লিয়ঁ তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন, ওয়ার্নের শেষকৃত্যে সাইমন্ডসের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি। লিয়ঁ লিখেছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই সাইমন্ডসের প্রয়াণের খবরটি পেয়ে আমি বেদনাহত। ২ মাস আগে ওয়ার্নের মেমোরিয়াল সার্ভিসে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। রয়ের সঙ্গে অনেক কথা হলো। আমরা দুজনেই বলছিলাম, কত অল্প বয়সে চলে গেলেন ওয়ার্ন। সাইমন্ডসের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিয়ঁ লিখেছেন, সাইমন্ডস শুধু একজন ক্রিকেট কিংবদন্তিই ছিলেন না, তিনি অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন আইসিসির
অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের অকালপ্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছে আইসিসিও। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ম্য়াচে সাইমন্ডস ১২৫ বলে ১৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যার ফলে অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ৮৬ রান থেকে পৌঁছে গিয়েছিল ৩১০ রানে। সেই ম্যাচের মুহূর্ত শেয়ার করে সাইমন্ডসকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন আইসিসির।