
থাইল্যান্ডকে বড় রানে হারিয়ে মহিলা এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত
থাইল্যান্ডকে বড় রানে হারিয়ে মহিলা এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে থাইল্যান্ডকে ৭৪ রানে পরাজিত করল ভারত। ভারতের ১৪৮/৬ রানের জবাবে ৭৪/৯ রানে থমকে যায় থাইল্যান্ডের ইনিংস। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শেফালি বর্মা।

এ দিন টসে জিতে টসে জিতে বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নেন থাইল্যান্ড মহিলা দলের অধিনায়ক নারুইমোল চাইওয়াই। পিচ অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের অধিনায়ক। অর্ধেক কাজটা ভাল মতো সেরেছিল থাইল্যান্ডের বোলাররাও কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে ভারতের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হারতে হল থাই মেয়েদের দলটিকে।
ভারতের হয়ে ২৮ বলে ৪২ রান করেন শেফালি বর্মা। জেমিমা রড্রিগেজের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ রান, ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। পূজা ভাস্ত্রকর ১৩ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তবে, এই ম্যাচে তারকা ওপেনার স্মৃতি মন্ধনা এবং উইকেটরক্ষক রিচা ঘোষের রান না পাওয়াটা ফাইনালের আগে চিন্তায় রাখবে ভারতকে। মাত্র ১৩ রানে এই ম্যাচে আউট হন স্মৃতি। তাঁর ব্যাটিংয়ের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব প্রকোট ছিল। বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত রিচা ঘোষ ২ রানে আউট হন। দুই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের কম রানে আউট হওয়াটা নিঃসন্দেহে ভাবাবে থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে।
থাইল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট পান নাতায়া বোচাথাম, ফানিতা মায়া এবং থিপাটচা পুথাওং। সর্বাধিক তিনটি উইকেট পান সোননারিন টিপোচ।
১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে ৭৪/৯ থমকে যাওয়া থাইল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ২১ রান করেন অধিনায়ক নারুইমোল এবং নাতায়া। এই দুই জন ছাড়া থাইল্যান্ডের কোনও ব্যাটম্যানের রান দুই অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছায়নি। থাইল্যান্ডের দুই ওপেনার নান্নাপাত কোঞ্চারোয়েঙ্কাই ৫ রান করেন এবং নাথ্যাকান চানথাম করেন ৪ রান। থাইল্যান্ডের ইনিংসের দুই ব্যাটসম্যান ০ রানে আউট হন। মিডল অর্ডারে সোরনারিন টিপোচ এবং চানিদা সুথিরুয়াং করেন যতাক্রমে ৫ এবং ১ রান। দীপ্তি শর্মা ভারতের হয়ে সর্বাধিক তিন উইকেট নিয়েছেন, দুই উইকেট সংগ্রহ করেছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রেণুকা সিং, স্নেহ রানা এবং শেফালি বর্মা।