কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের দুর্ধর্ষ ইনিংস, টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় প্রথম এক দিনের ম্যাচে পরাজিত ভারত
প্রথম একদিনের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৯ রানে পরাজিত ভারত
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে ৯ রানে পরাজিত হল ভারত। লখনউ-এ বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৪৯/৪ রানের জবাবে ভারতীয় দলের ইনিংস থেমে যায় ২৪০/৮ রানে। সঞ্জু স্যামসনের একক দক্ষতা এবং শ্রেয়স আইয়ারের প্রচেষ্টার সৌজন্যে এত দূর পৌঁছয় ভারত। কিন্তু টপ অর্ডারের অপর ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে ম্যাচে জয় পেল না ভারত।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ৪০ ওভারে ২৪৯/৪ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিক সময়ে দুই ঘণ্টা পরে ম্যাচ শুরু হওয়ার কারণে ওভার সংখ্যা কমিয়ে তা ৪০ করা হয়। ব্যাটিং-এর শুরুটা ভাল করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দীর্ঘ দিন পর প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া জানেমন মালান ২২ রান করেন এবং তারকা প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক করেন ৪৮ রান। এই ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতা বজায় ছিল অধিনাক তেম্বা বাভুমার। মাত্র ৮ রানে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ছন্দে থাকা এইডেন মার্করাম ০ রানে আউট হন। এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের হাল ধরেন তারকা প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার এবং হেইনরিচ ক্লাসেন। ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্লাসেন এবং ৭৫ রান করেন ডেভিড মিলার।
ভারতের হয়ে একটি মেডেন সহ দু'টি উইকেট পান শার্দূল ঠাকুর। একটি করে উইকেট পান কুলদীপ যাদব এবং রবি বিষ্ণোই।
২৫০ রান তাড়া করতে নেমে ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৪০/৮ রানে। ভারতের দুই ওপেনার অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান (৪) এবং শুভমন গিল (৩) রান পাননি। রান পাননি ঋতুরাজ গায়েকোয়াড় (১৯) এবং ঈশান কিষানও (২০)। বড়রানে হারতে চলা ভারতীয় দলকে ম্যাচে ফেরান শ্রেয়স আইয়ার এবং সঞ্জু স্যামসন। সুযোগ পেলে স্যামসন কতটা কার্যকরী এবং ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন তার প্রমাণ দিলেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক। ৩৭ বলে ৫০ রান করে আউট হন শ্রেয়স আইয়ার। শেষ পর্যন্ত স্যামসন টিকলেও ঋতুরাজ এবং ঈশান যে ভাবে বল নষ্ট করেছে তার খেসারত দিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি। ৬৩ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সঞ্জু। ৯টি চার এবং ৩টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস তিনি সাজিয়ে ছিলেন। শার্দূল ঠাকুর করেছেন ৩৩ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি মেডেন সহ ২ উইকেট নেন কাগিসো রাবাড। ১টি মেডেন সহ ১ উইকেট নেন ওয়েন পার্নেল, কেশব মহারাজও ১টি মেডেন সহ ১ উইকেট নেন। লুঙ্গি এনগিডি সর্বাধিক তিনটি উইকেট পান। তাব্রেজ শামসি এক উইকেট পেলেও প্রচুর রান খরচ করেছেন।