২০১১-য় বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন যুবি - এবার ট্রফি জিততে ভারতের বাজি কারা, দেখে নিন ৫ ক্রিকেটারের তালিকা
দেখে নেওয়া যাক ইংল্যান্ডে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯-এ কোন ৫ ভারতীয় ক্রিকেটারের হাতে থাকবে ভারতের সলাফল্যের চাবিকাঠি।
ক্রিকেট দলগত খেলা হলেও ১১ জনের দলের কোনও কোনও ক্রিকেটার ব্যক্তিগত সাফল্যের নিরিখে ছাপিয়ে যান বাকিদের। কোনও দুর্দান্ত বোলিং স্পেল, বা দুরন্ত ইনিংসে নায়ক হয়ে ওঠেন তাঁরা। তবে এরকম পারফরম্যান্সে একটি বা দুটি ম্যাচ জয় সম্ভব হলেও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট জেতা সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন হয় দলের ১১ জনের অবদান।
অতীতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী সবকটই দলই তার প্রমাণ দিয়েছে। তবে ইতিহাসে আরও দেখা গিয়েছে, এই দলগত পারফরম্যান্স আবর্তিত হয় এক বা দুইজন ক্রিকেটারকে কেন্দ্র করে। ২০১১ সালে ভারত ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিল। জাহির খান, এমএস ধোনি, গৌতম গম্ভীর অনেকেরই স্মরণীয় পারফরম্যান্স ছিল। কিন্তু সবার মধ্যে অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্সে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন যুবরাজ সিং।
জসপ্রিত বুমরা
শুধু ভারতের নয়, সমগ্র ক্রিকেট বিশ্বেরই এই মুহূর্তের অন্যতম সেরা জোরে বোলার হলেন বুমরা। দেশে-বিদেশে তাঁর বলে সমান ধার লক্ষ্য করা যায়। মূল অস্ত্র ইয়র্কার, ইনসুইঙ্গার ও বাউন্সার হলেও, তাঁর হাতে আরও অনেক বৈচিত্র রয়েছে। ইংল্যান্ডের সুইং সহায়ক পরিবেশে তিনি যে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন তা বলাই বাহুল্য।
কুলদীপ যাদব
কব্জির মোচড়ে যে কোনও পরিবেশে, যে কোনও উইকেটে বল ঘোরাতে পারেন কুলদীপ। টপস্পিন, ফ্লাইটেড ডেলিভারি, ফাস্টার ডেলিভারির মতো অস্ত্র মজুত আছে তাঁর তুনে। তবে সবচেয়ে বড় অস্ত্র, তাঁর ব্যাটসম্যানের মন পড়ার ক্ষমতা। ব্যাটসম্যান কী ভাবছে তা বুঝে সেই মতো বল করার তাঁর এই বিরল ক্ষমতা বিশ্বকাপে দারুণ কার্যকর হয়ে উঠতে পারে।
রোহিত শর্মা
গত কয়েক বছরে একদিনের ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন রোহিত শর্মা। বড় বড় শতরান করার ক্ষমতা তাঁকে একদিনের ক্রিকেটের অন্যতম বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান করে তুলেছে। এই ফর্ম্যাটে তিন-তিনটি দ্বিশতরান আছে তাঁর। পুল, কভার ড্রাইভের পাশাপাশি অনাযাসে বল বাউন্ডারি পার করাতে পারেন তিনি। বিশ্বকাপের তাঁর ব্যাট চললে প্রতিপক্ষের হাতে সুযোগ প্রায় থাকবে না বললেই চলে।
এমএস ধোনি
অনেকেই ধোনির ব্যাটিং-এর ফর্মের পড়তির জন্য তাঁকে বাদ দেওয়ার আওয়াজ তুলছেন। তাঁর উইকেটকিপিং নিয়ে অবশ্য এখনও কথা বলার জায়গাই তৈরি হয়নি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষদতা যেন তাঁর আরও বেড়েছে। ব্যাটিং-এর ক্ষেত্রে তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত হয়েছেন বলে যায়। আগের মতো তেজড়েফুড়ে মারার চেয়ে অনেরক বেশি ইনিংস গড়ায় মন দিচ্ছেন তিনি। যে কোনও মুহূর্তে বিশাল ছয় মারার ক্ষমতাতেও মরচে পড়েনি। যেটা কমেছে, তা হল, ফিল্ডিং-এর ফাঁক খুঁজে খুচরো রান নেওয়াার ক্ষমতা। কিন্তু তাঁর ক্রিকেট মস্তিষ্ক আর অভিজ্ঞতা সেই ঘাতটিটুকুও মিটিয়ে দিতে পারে।
বিরাট কোহলি
তবে এই বিশ্বকাপের নায়ক হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন কোহলি। সহজাত নেতা এবং আধুনিক যুগের সেরা ব্যাটসম্যান। তাঁর স্ট্রোক প্লে, তাঁর ফুট ওয়ার্ক-এর সঙ্গে জুড়েছে অসংখ্য ক্রিকেটিয় শট। যার জন্য ঝুঁকি না নিয়েই দ্রুত রান তুলতে পারেন। নেতা কোহলিও দ্রুত উন্নতি করেছেন। দলকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখন তিনিই এক নম্বর লোক। টেকনিকাল দিকে কিছু কামতি থাকলে, তা পূরণ করে দেবেন ধোনি।