হার্দিকের দক্ষতা আছে কপিলের রেকর্ড ভাঙার! কে বললেন? পাণ্ডিয়া বিশেষ ভিডিও প্রকাশ করে দিলেন কোন বার্তা?
চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পর থেকে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। ব্যাটে-বলে কামাল দেখাচ্ছেন। আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন। আয়ারল্যান্ডে ভারতকে টি ২০ সিরিজ জিতিয়েছেন ভারত অধিনায়ক হিসেবে। ইংল্যান্ডে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন। সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছেন, ব্যাট হাতে ৭১ রান করেছেন। হয়েছেন সিরিজ-সেরা। টি ২০ বিশ্বকাপ যত এগিয়ে আসছে তত হার্দিকের ফর্ম স্বস্তি দিচ্ছে ভারতকে।
সেরা সময়
হার্দিক ও ঋষভ পন্থ যেভাবে গতকাল ম্যানচেস্টারে তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতের জয় তথা বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ডেরায় তাদের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছেন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্রিকেট মহল। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন হার্দিককে ঘিরে ছিল অনিশ্চয়তার মেঘ। পিঠের চোট দীর্ঘদিন ভুগিয়েছে। অস্ত্রোপচার হয়েছে। বলও করতে পারছিলেন না। সেই অবস্থা থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনবদ্য কামব্যাকের লড়াইটা কিন্তু কম কঠিন ছিল না। আপাতত কেরিয়ারের সেরা সময়ের মধ্যেই রয়েছেন। একের পর এক সাফল্য।
|
ভোলেননি সেই মানুষজনকে
এই সময় অবশ্য কঠিন সময়ে পাশে থাকা মানুষজনকে ভোলেননি হার্দিক। ইংল্যান্ডে একদিনের সিরিজে সেরার পুরস্কার পাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ ভিডিও শেয়ার করে কৃতজ্ঞতা জানালেন তাঁদের প্রতি। হার্দিক ক্যাপশনে লিখেছেন, উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যখন গিয়েছি তখন যে মানুষজন আমার পাশে থেকেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন, গাইড করেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রত্যেক সকালে উঠে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়, আরও শক্তিশালী ও ফিট হয়ে দেশের হয়ে খেলার দৃঢ়সংকল্প নিয়ে তিনি এগিয়েছেন। সেই সময় পরিবার যেভাবে পাশে থেকেছে সেটা হার্দিকের কথায় উঠে আসে বারবার।
কপিলের সঙ্গে তুলনা
হার্দিককে একটা সময় কপিল দেবের উত্তরসূরী ভাবা হতো। মাঝে ফর্মের কারণে সেই প্রত্যাশা থেকে অনেক দূরে চলে যান পাণ্ডিয়া। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে তাঁর সাফল্য ফের কপিলের সঙ্গে তুলনায় নিয়ে এসেছে তাঁকে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোয় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার ওয়াসিম জাফর বলেন, কপিল দেব অনেক বড় নাম। তবে কপিল দেবের রেকর্ড সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভাঙার দক্ষতা হার্দিকের রয়েছে। হার্দিকের ব্যাটিং দক্ষতা তো ভালোই। এখন যেভাবে বোলিং করছেন তাতে আর পাঁচ থেকে সাত বছর খেললে হার্দিক কপিল দেবের রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছে যেতেই পারবেন। তবে এখনই এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলার সময় যে আসেনি সেটাও মনে করিয়েছেন জাফর।
বল হাতে ছন্দে
দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ যে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে সে কথা স্বীকার করেছেন খোদ হার্দিক। টানা বল করার সুযোগ পেয়েও খুশি হার্দিক। প্রতি সিরিজের পরই চার-পাঁচ দিন বিশ্রাম নিয়ে নিজের ফিটনেস বাড়িয়ে পরের সিরিজের জন্য চনমনে থাকাটাই তাঁর পরিকল্পনার মধ্যে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে একদিনের সিরিজে বিশ্রাম নিয়ে খেলবেন টি ২০ সিরিজে। লাগাতার বল করতে না পেরে বল হাতে ছন্দ হারানোর কথাটিও মেনে নিয়েছেন পাণ্ডিয়া। ইংল্যান্ড সফরে যেভাবে বোলিং করেছেন তাতে সেই ছন্দ ফিরে পেয়ে নিজের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে নিলেন হার্দিক।