সচিনের ব্যাটে আফ্রিদির ঝড়, স্টুয়ার্টের জন্মদিন ও রানের মিল! ব্র্যাডম্যানের হিট উইকেটে ভারতীয় যোগ কোথায় জানেন?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। ক্রিকেটের জগতে প্রতি মুহূর্তেই ঘটছে নানা ঘটনা। মাঠে তো বটেই, মাঠের বাইরেও থাকে অনেক স্মরণীয় ঘটনা। তার কিছু অনেকে জানেন। অনেকের কাছে আবার তা অজ্ঞাত। তেমন কিছু ঘটনার দিকেই এবার আলোকপাত করা যাক।
সচিনের ব্যাটে আফ্রিদি ঝড়
১৯৯৬ সালের ৪ অক্টোবর নাইরোবিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১১টি চার ও ৬টি ছয়ের সাহায্যে শাহিদ আফ্রিদি ১০২ করেছিলেন, শতরান করতে নেন ৩৭ বল। ২০১৪ অবধি এটিই ছিল একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্রুততম শতরান। ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের কোরে অ্যান্ডারসন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩৬ বলে শতরান করে সেই রেকর্ড ভাঙেন। সেই রেকর্ডটি প্রায় ১ বছরের মাথায় ভেঙে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। তিনি ৩১ বলে শতরান হাঁকান ক্যারিবিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধেই জোহানেসবার্গে। বর্তমানে এটিই একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্রুততম শতরান। তবে মজার ব্যাপার হলো, আফ্রিদি যে ব্য়াটটি দিয়ে ঝোড়ো শতরান হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন সেটি ছিল সচিন তেন্ডুলকরের ব্যাট।
সচিন পাকিস্তানের ফিল্ডার
সচিন তেন্ডুলকরই আবার ফিল্ডিং করেছিলেন পাকিস্তান দলের হয়ে। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৮৯ সালে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেকের দুই বছর আগে। প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে নামক আত্মজীবনীতে সচিন লিখেছিলেন, জানি না ইমরান খানের মনে আছে কিনা। তবে আমাকে পাকিস্তানের হয়ে ফিল্ডিং করতে নামতে হয়েছিল। ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ চলছিল ১৯৮৭ সালে তৎকালীন বোম্বের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে। জাভেদ মিয়াদাঁদ ও আবদুল কাদির মধ্যাহ্নভোজ সারতে গিয়েছিলেন। পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে নেমেছিলেন সচিন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, অল্পের জন্য কপিল দেবের ক্যাচ ধরতে পারিনি অনেকটা দৌড়ে গিয়েও। যদি লং অনের পরিবর্তে মিড অনে আমাকে রাখা হতো তাহলে ক্যাচটি ধরে ফেলতাম।
ব্র্যাডম্যান হিট উইকেট
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের শেষ টেস্টে শূন্য রানে আউট হওয়ায় ডন ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিং গড় ১০০-র নীচে নেমে গিয়েছিল। তবে অজি কিংবদন্তি কেরিয়ারে একবারই হিট উইকেট হয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে ব্রিসবেন টেস্টে তিনি হিট উইকেট হন লালা অমরনাথের বলে।
তিন ফরম্যাটে বিশ্বজয়
ভারত তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছে। ২০০৭ সালে টি ২০ বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০ ওভারের ফরম্যাটে। ২০১১ সালে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে বিশ্বজয়। তবে জানেন কি ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ কোন ফরম্যাটে ছিল? একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথম দিকে খেলা হতো ৬০ ওভারের ম্যাচ। ১৯৮৩ ওভারের বিশ্বকাপও ছিল ৬০ ওভারের। ফলে ভারতের তিনটি বিশ্বকাপ জেতা তিনটি আলাদা ফরম্যাটে। আবার ইংল্যান্ড তিন ফরম্যাটের ফাইনালে উঠেও পরাস্ত হয়েছে। ১৯৭৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারে, সেটি ছিল ৬০ ওভারের। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের কাছে বিশ্বকাপ ফাইনাল হারে, সেটি ছিল ৫০ ওভারের। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হয়েছিল ২০ ওভারের, সেই আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে ভারতের কাছে পরাস্ত হয় ইংল্যান্ড।
জন্মদিন ও রানের মিল
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন উইকেটকিপার-ব্যাটার অ্যালেক স্টুয়ার্ট। তাঁর জন্মদিন আর টেস্ট রানের ক্ষেত্রে রয়েছে এক দারুণ মিল। ১৯৬৩ সালের ৮ এপ্রিল জন্ম স্টুয়ার্টের। সেটা সাজিয়ে লিখলে দাঁড়ায় ৮-৪-৬৩। কী আশ্চর্য! অ্যালেক স্টুয়ার্টের টেস্ট রান দাঁড়িয়ে ৮৪৬৩ রানেই।
চার প্লেয়ারের নজির
অনেক দলই ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল করে থাকে দলের পারফরম্যান্স উন্নত করার লক্ষ্যে। বিশ্বে এমন চারজন ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা বিভিন্ন দলের হয়ে ১০টি পজিশনেই ব্যাট করতে নেমেছেন। তাঁরা হলেন লান্স ক্লুজনার, আবদুল রাজ্জাক, শোয়েব মালিক ও হাসান তিলকরত্নে।