‘শাহরুখ খান ব্যক্তিগত ভাবে আমায় কেকেআর-এর হয়ে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন’, দাবি প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের
‘শাহরুখ খান ব্যক্তিগত ভাবে আমায় কেকেআর-এর হয়ে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন’, দাবি প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের
প্রথম মরসুম থেকেই বিশ্ব ক্রিকেট মানচিত্রে অন্য স্থান করে নিয়েছে আইপিএল। ২০০৮ সাল থেকে ক্রিকেটকে নতুন দিশা দেখিয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ললিত মোদীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই লিগের সাফল্য দেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড আইপিএল-এর ধাঁচে লিগ করলেও তা আইপিএল-কে ছাপিয়ে যেতে পারেনি।
পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেটাররা এই লিগকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে বছরের পর বছর। শুধুমাত্র প্রথম মরসুমেই পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা খেলেছেন আইপিএল-এ। ২৬/১১ মুম্বই হামলার কারণে এই লিগে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইয়াসির আরাফাত সম্প্রতি জানিয়েছেন সম্প্রতি জানিয়েছেন ২০০৯ সালে আইপিএল-এ খেলার কথা ছিল তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম কর্ণধার শাহরুখ খান নিজে তাঁকে কেকেআর-এর হয়ে খেলার জন্য কন্ট্র্যাক্ট অফার করেছিলেন। 'ক্রিকেট ডেন' ইউটিউব চ্যানেলে আরাফাত বলেছেন, "প্রথম মরসুমের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যে নামগুলো বাছাই করেছিল দুর্ভাগ্যবশত তার মধ্যে আমার নাম ছিল না এবং খেলতে পারিনি। ২০০৮ সালে সেই সময়ে আমি কেন্টের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলছিলাম। কেকেআর-এর স্কাউটিং টিম বিশেষ ভাবে ভারত থেকে সেখানে গিয়েছিল এবং একটি ম্যাচের মাঝে আমার সঙ্গে কথাও বলে। তাঁরা আমায় জানিয়েছিলেন, 'শাহরুখ খান নিজে আমায় তাঁর দলে চান।' আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আমার সঙ্গে হয়তো ওরা মজা করছে কারণ শাহরুখ খান কেন কাউকে আমার কাছে পাঠিয়ে কন্ট্র্যাক্ট নিয়ে কথা বলবেন। ওরা আমাকে একটি কার্ডও দিয়েছিল এবং আমার নম্বরও নেয়।"
এর পর সমস্তটাই বদলে যায় মুম্বই হামলার পর। তিনি বলেন, "এর পরই মুম্বইয়ে আক্রমণ ঘটে এবং আর কখনও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এই লিগে অংশ নিতে পারে তার পর। এটা হয়তো আমাদের ভাগ্য যে আমার মতো পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কাছে আরও কখনও আইপিএল-এ খেলার সুযোগ আসেনি।"
২০০০ সালে পাকিস্তানের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল আরাফাতের। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন এই ক্রিকেটার। দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটে তিন ম্যাচে ৯৪ রান করেন তিনি এবং সংগ্রহ করেন নয়টি উইকেট। প্রতিবেশী দেশটির হয়ে ১১টি ওডিআই ম্যাচে ৭৪ রান করেন তিনি এবং সংগ্রহ চারটি উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে ১৩টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনি ৯২ রান করেন এবং নিয়েছেন ১৬টি উইকেট।