ভারতে একটা শ্রেণির হিংসুটে চেয়েছিল আমি ব্যর্থ হই: শাস্ত্রী
ভারতে একটা শ্রেণির হিংসুটে চেয়েছিল আমি ব্যর্থ হই: শাস্ত্রী
দীর্ঘ সাত বছর ভারতের কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলানো এবং প্রত্যাশার চাপ প্রতিনিয়ত বয়ে বেড়ানোর পর বর্তমানে খোশ মেজাজে রয়েছে রবি শাস্ত্রী। কোচ হিসেবে অনেক চড়াই-উতরাই দেখেছেন শাস্ত্রী। তাঁর অধিনায়কত্বে দ্বি-পাক্ষিক একাধিক ট্রফি এলেও আইসিসি'র ইভেন্টে মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারত।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান'কে শাস্ত্রী জিজ্ঞাসা করেছিল, কী ভাবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)-র দায়িত্ব নিয়ে এ রবার্ট কি-র এগিয়ে যাওয়া উচিৎ? কি এবং শাস্ত্রীর- উভয়রই কোনও কোচিং ডিগ্রি নিয়েই। নিজের সঙ্গে তুলনা করে এর উত্তরে শাস্ত্রী বলেছেন, "লেভেল ১? লেভেল ২? কোনও কোচিং ডিগ্রি আমার নেই। এবং ভারতের মতো দেবে সব সময়ে মানুষ আপনাকে হিংসা করবে এবং একটা গ্যাং চাইবে যাতে আপনি ব্যর্থ হন। আমার চামরা মোটা।
যে ডিউক বল আপনারা ব্যবহার করেন তাতে যে চামরা ব্যবহার হয় সেটার থেকেও আমারটা মোটা। রবেরও এমনটা হবে কারণ প্রত্যেকটা দিন ওর কাজের বিচার করা হবে। এটা ভেবে আমার ভাল লাগছে যে কেন্টের হয়ে দীর্ঘ দিন অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে ওর কারণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ক্ষেত্রে।"
তাঁর আরও সংযোজন, "রবকে হয়তো ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশি কাজ করতে হবে কিন্তু জাতীয় স্তরে বিষয়টা অনেকটা একই রকম। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খেলোয়াড়দের সঙ্গে সব সময়ে থাকা, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং প্রথম থেকে একটা সুর বেঁধে দেওয়া। তুমি কী বিশ্বাস করো সেটা তাঁদের বোঝানো এবং জেতার মানসিকতা তৈরি করা।"
খেলোয়াড়দের আক্রমণাত্মক মানসিকতার বিকাশে এবং ফিটনেসের উপর যে ভাবে রব জোর দিচ্ছেন তাকে সমর্থন করেছেন শাস্ত্রী। নিজের সময়কার এক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে শাস্ত্রী বলেছেন, "আমরা যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলাম তখন ছেলেদের বলেছিলাম অজিদের ব্যবহার ওদেরকেই ফিরিয়ে দাও।"
তিনি মনে করেন দলের মধ্যে বর্তমানে সবটা কী রকম ভাবে পরিচালিত হয় বা হচ্ছে, বা খেলোয়াড়দের মানসিকতা কেমন স্তরে রয়েছে, এই সব নিয়ে সদ্য প্রাক্তন অধিনায়ক দো রুটের সঙ্গে আলোচনা করা উচিৎ রবের। তাঁর কথায়, "রবের পুরো বিষয়টা বুঝতে একটু সময়ে লাগবে এবং সমস্ত বিষয়টা নিয়ে জো রুটের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন ওর, টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ওর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল জানা দরকার।
আমার ২৪ বছরের কেরিয়ারে (ধারাভাষ্যকার হিসেবে) একটা বলও আমি মিস করিনি, ও (রব) নিজের অনেক ম্যাচ কভার করেছে। ফলে প্রাথমিক সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সরাসরি সেগুলি কঠোর হাতে ঠিক করতে হবে। সাফল্য পেতে হলে তোমাকে নিষ্ঠুর এবং কঠোর হতে হবে। ইংল্যান্ডের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ বাইরে জেতার অভ্যাস তৈরি করা। গত বছর আমি দেখেছি প্রচুর প্রতিভা রয়েছে ইংল্যান্ডে, শুধু মানসিকতাটা তৈরি করতে হবে।"