করোনায় স্বপ্নভঙ্গ, ঘরে ঘরে সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের মহিলা গোলরক্ষক
ফ্লিপকার্ট বিগ বিলিয়ন ডে, ঘরে ঘরে আসবাব সহ পৌঁছে যাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের মহিমা
তেকাঠির নিচে দাঁড়িয়ে বাঁচিয়েছেন একের পর এক দুর্দান্ত শট। ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দলের হয়ে নিশ্চিত পতন আটকাচ্ছেন অনায়াসে। সেই ২৪ বছরের মহিমা খাতুনকে এবার অন্য ভূমিকায় দেখছে শহর। ফ্লিপকার্ট বিগ বিলিয়ন ডে উপলক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি বিলাসের সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন বাংলার এই ফুটবলার। দেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাতেগোনা ডেলিভারি গার্লের মধ্যে তিনিও একজন।
কিছু মাস আগেই মহিলা ফুটবল দল তৈরি করেছে ইস্টবেঙ্গল। সেই দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন ২৪ বছরের গোলরক্ষক মহিমা খাতুন। ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন ঘোষণা হলে মহিমার স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রোজগার। সংসার টানতে বাধ্য হয়ে ফ্লিপকার্টের সঙ্গে যুক্ত হন হাওড়ার মহিলা গোলরক্ষক। গ্লাভস ছেড়ে সংস্থার ডেলিভারি গার্ল হয়ে বাড়ি বাড়ি বিলাসের সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন মহিমা।
যদিও মহিমার কাছ থেকে ফুটবল পুরোপুরি কেড়ে নিতে পারেনি করোনা ভাইরাস। স্থানীয় একটি ফুটবল অ্যাকাডেমিতে কোচিং করান ২৪ বছরের গোলরক্ষক। ৬০-এরও বেশি খুদে ফুটবলারকে প্রশিক্ষণ দেন মহিমা খাতুন। সঙ্গে কাজও চলছে সমানে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ১৬টি বাড়িতে ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজ পৌঁছে দিচ্ছেন মহিমা। একই দিনে ২৩টি বাড়ি বিলাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মহিলা গোলরক্ষকরে ঝুলিতে। এমন রেকর্ড তেকাঠির নিচেও গড়তে মরিয়া মহিমা খাতুন।