Ranji Trophy: ছন্দে ফিরল বাংলার ব্যাটসম্যানরা, ঈশ্বরনের পাশাপাশি বরাবাটিতে উজ্জ্বল অনুষ্টুপ-সায়ন-মনোজ
Ranji Trophy: ছন্দে ফিরল বাংলার ব্যাটসম্যানরা, ঈশ্বরনের পাশাপাশি বারাবাটিতে উজ্জ্বল অনুষ্টুপ-সায়ন-মনোজ
অবশেষে রানের খরা কাটলো বাংলার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। প্রথম দুই ম্যাচে বোলারদের দাপটে জয় পেলেও ভাঁড়ে মা ভবানী ছিল বাংলার ব্যাটসম্যানদের। চণ্ডিগড়ে বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত রানের মুখ দেখলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন- মনোজ তিওয়ারিরা। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হল ৪৩৭ রানে।
চণ্ডিগড়ে বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে রঞ্জির এলিট গ্রুপ 'বি'-এর তৃতীয় ম্যাচে কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চণ্ডিগড়ে অধিনায়ক মনন ভোরা। কিন্তু পিচ কন্ডিশন পরখ করতে ভুল করেছিলেন মনন। বাংলার ব্যাটসম্যারা ফর্মে না থাকলেও ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যে কোনও সময়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারতেন অনুষ্টুপরা হয়তো সেটা আন্দাজ করতে পারেননি তিনি। তাঁর ভুল রিডিং-ই ম্যাচের দ্বিতীয় দিন অ্যাডভান্টেজ পজিশনে এনে দিয়েছে বাংলাকে।
ওপেনার সুদীপ ঘরামি শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং অনুষ্টুপ মজুমদারের দাপটে চণ্ডিগড়ের উপর প্রথম দিনই চেপে বসেছিল অরুণ লালের দল। বাংলার অধিনায়ক ঝকঝকে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন। ১২টি চার দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। প্রথম দুই ম্যাচে বরোদার বিরু্দ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ ছাড়া কোনও বড় রান পাননি ঈশ্বরন। ফলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারে উপর চাপ বাড়ছিল। সেই চাপকে মাথায় নিয়েই দুরন্ত শতরান করলেন বাংলার অধিনায়ক।
অভিমন্যু শতরান করলেও অল্পের জন্য রানের সংখ্যা তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি বাংলার ইনিংসকে গড়ার অপর কারিগর অনুষ্টুপ মজুমদার। গৌরভ গম্ভীরের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ৯৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অনুষ্টুপ। পর পর দুই ম্যাচে ব্যর্থ থাকা বাংলার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি ব্যাটেও রান এসেছে। অর্ধ শতারান করেছে মনোজ। চারটি চার এবং একটি ছয়ের সৌজন্যে ৯৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন মনোজ তিওয়ারি।
তবে, এই ম্যাচে যাঁর ব্যাটিং সব থেকে বেশি মুগ্ধ করেছে তিনি হলেন সায়ন মণ্ডল। এই বোলিং অলরাউন্ডার তিন রানের জন্য শতরান হাত ছাড়া করেন। তবে, এতে তাঁর কোনও দোষ নেই এক দিক থেকে সায়ন ধরে থাকলেও অপর টেলেন্ডাররা তাঁকে শতরানে পৌঁছনো পর্যন্ত সঙ্গ দিতে পারেননি। ৯৭ রানেই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকতে হয় সায়নকে।
গত দুই ম্যাচে বাংলার হয়ে একমাত্র ঠিকঠাক ব্যাটিং করা তরুণ উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েল রানের খাতা খুলতে পারেনি। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
চণ্ডিগড়ের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন জগজিৎ সিং। পাঁচটি উইকেট পেয়েছেন জগজিৎ। এছাড়া দু'টি করে উইকেট নিয়েছেন গুরিন্দর সিং এবং গৌরব গম্ভীর। একটি উইকেট পেয়েছেন জসকরণ সিং।
বাংলার ৪৩৭ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২১ ওভার শেষে চণ্ডিগড়ের রান ৬০/১। অধিনায়ক মনন ভোরা ব্যাটিং করছেন ২৪ রানে, তাঁর সঙ্গে ১৮ রান করে ক্রিজে রয়েছেন আর্সলান খান। মুকেশ কুমারের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন চণ্ডিগড়ের ওপেনার হারনুর সিং।