বিরাট কোহলির মেয়েকে ধর্ষণের হুমকির জেরে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার ১
বিরাট কোহলির মেয়েকে ধর্ষণের হুমকির জেরে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার ১
হায়দরাবাদ থেকে এদিন গ্রেফতার করা হল বিরাট কোহলির মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে। এর আগে বিশ্বকাপ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হারের পর বিরাটের মেয়ে বমিকাকে ধর্ষণের হুমকি দেয় এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তির হুমকির সাপেক্ষে মুম্বই সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিরাট কোহলির মেয়েকে হুমকি দেওয়া সেই ব্যক্তি রামনাগেশ আলিবাথিনিকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশের সাইবার সেল।
২৩ বছরের রাম নাগেশ আলিবাথিনি পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি হায়দরাবাদের একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের হয়ে কর্মরত। এর আগে, টি ২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় টিম বিরাট কোহলি। সেই সময় ভারতীয় পেসার মহম্মদ সামি অনলাইনে বক্রোক্তির শিকার হন। বহু নেটিজেন সামিকে টার্গেট করে সাম্প্রদায়িক প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ করেন। সেই সময় সামির সমর্থনে এগিয়ে আসেন বিরাট কোহলি। ক্যাপ্টেন পাশে দাঁড়ান দলীয় পেসারের। এরপর টুইটার থেকে ক্রিকক্রেজি গার্লের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট যায়। যে পোস্টে বিরাট ও অনুষ্কা শর্মার নয় মাসের মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।
এর আগে, দিল্লির মহিলা কমিশন, বমিকাকে ধর্ষণের হুমকি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসিডব্লিউ পুলিশের ডেপুটি কমিশনারকে প্রথম তথ্য প্রতিবেদনের (এফআইআর) একটি অনুলিপি, চিহ্নিত ও গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের বিশদ বিবরণ এবং ৮ নভেম্বর, ২০২১ সালের মধ্যে বিস্তারিত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিবেদন সরবরাহ করতে বলেছিল। একটি নোটিশ জারি করে দিল্লি পুলিশ, ডিসিইডাব্লিউ বিরাট কোহলি এবং তার পরিবারের অনলাইন ট্রোলিংকে 'গুরুতর বিষয়' বলে বর্ণনা করেছে এবং 'অবিলম্বে মনোযোগ' চেয়েছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের পরাজয়ের জন্য যারা সামিকে দায়ী করছেন তাদের এক বিরুদ্ধে সরব হয়ে জবাবে কোহলি বলেছিলেন, 'আমার কাছে ধর্মকে কেন্দ্র করে কাউকে আক্রমণ করা সবচেয়ে বেশি, আমি বলব, করুণ কাজ যা কেউ করতে পারে। প্রত্যেকেরই মত প্রকাশ করার অধিকার আছে। তাদের মতামত এবং একটি বিশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা কী অনুভব করে। আমি কখনই তাদের ধর্মের কারণে কারও প্রতি বৈষম্য করার কথা ভাবিনি এবং এটি প্রতিটি মানুষের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এবং ব্যক্তিগত বিষয়।'