করোনার নাছোড় ধাক্কাকে ছক্কা হাঁকিয়ে মুম্বইয়ে আইপিএল আয়োজনে বদ্ধপরিকর মহারাষ্ট্র প্রশাসন ও বিসিসিআই
আইপিএল ২০২১-এর দিকে আরও এক বাউন্সার, এবার করোনার থাবার নিচে ব্রডকাস্টার
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের মাঠ কর্মীদের পর এবার আইপিএল ২০২১-এর ব্রডকাস্ট গ্রপের ১৪ জন সদস্যের কোভিড ১৯ টেস্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানানো হয়েছে। যা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি২০ লিগের কাছে আরও এক বাউন্সার বলা চলে। বিসিসিআই তা কীভাবে সামলায়, সেদিকে তাকিয়ে থাকবে ক্রিকেট মহল। তবে এই ইস্যুতে আত্মবিশ্বাসী মহারাষ্ট্র প্রশাসন ও বিসিসিআই।
আইপিএল ২০২১-এর ব্রডকাস্ট সংস্থা স্টার নেটওয়ার্কের সদস্যরা মুম্বই ফোর সেশনস হোটেলে উঠেছিলেন। প্রত্যেকের কোভিড ১৯ টেস্ট করা হলে ১৪ জনের কোভিড ১৯ টেস্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে স্বতন্ত্র করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মৃদু সংক্রমণ থাকায় তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের আট মাঠ কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদেরও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা এবং বাড়তে থাকা করোনা ভাইরাসের চ্যালেঞ্জের মধ্যে মুম্বইয়ে আদৌ আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যদিও এই ইস্যুতে আশ্বস্ত করেছে স্বয়ং মহারাষ্ট্র সরকার।
আইপিএল যতই শক্তি বাড়িয়ে ধাক্কা দিক, মুম্বইয়ে আইপিএল তাতে বাধাপ্রাপ্ত হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। রাত আটটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু এবং সপ্তাহান্তের লকডাউনের মধ্যেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২১-এর দশটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বলে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে আইপিএল। ১০ এপ্রিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টে়ডিয়ামে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হচ্ছে ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস। দুই দলের ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বিধি মেনে রাত আটটার পর অনুশীলনে নামার অনুমতি দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। শহরে নাইট কার্ফু চলার সময় ক্রিকেটারদের মাঠ ছেড়ে হোটেলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের আবহে মুম্বইয়ে আইপিএল আয়োজন করা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেছেন, যেনতেন-প্রকারেণ টুর্নামেন্ট হবে এবং তা সফল হবে বলেও বিশ্বাস করেন মহারাজ।