তৃণমূলে যোগ দিতে ঢল, অর্জুন ঘনিষ্ঠ বিজেপির তিন বিদায়ী কাউন্সিলর-সহ শ'য়ে শ'য়ে কর্মীর যোগদান ঘাসফুল শিবিরে
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (arjun singh)-এর গড়ে বড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে। শুধু ভাটপাড়াতেই (bhatpara) নয়, নৈহাটিতেও(nhaihati) বিজেপি শিবিরে বড় ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল (trinamool congress) । শখানেক কর্মী সেখানে তৃণমূলে যোগ দ
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (arjun singh)-এর গড়ে বড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে। শুধু ভাটপাড়াতেই (bhatpara) নয়, নৈহাটিতেও(nhaihati) বিজেপি শিবিরে বড় ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল (trinamool congress) । শখানেক কর্মী সেখানে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গী হতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান বলে জানিয়েছেন দলত্যাগী নেতা-কর্মীরা।
ভাটপাড়ায় অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ ৩ বিদায়ী কাউন্সিলরের যোগদান
রবিবার সন্ধেয় অর্জুন সিং-এর গড় বলে পরিচিত ভাটপাড়া পুরসভার তিন বিদায়ী কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা ৯, ১১ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। নয় নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর জ্যোতি সাউ এবং তাঁর স্বামী অরুণ সাউ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সাহনপ্রসাদ চৌধুরী এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর গীতা যাদব। এঁরা তিনজনই অর্জুন ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। এছাড়াও প্রাক্তন কাউন্সিলর কানাই জয়সওয়াল এবং যুব নেতা তরুণ সাউ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত থেকেই সবাই তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন।
সবাই ছিলেন তৃণমূলে
তৃণমূলের পতাকা হাতে নেওয়ার পরে তিন কো-অর্ডিনেটরই দাবি করেন, তাঁরা একটা সময় তৃণমূলেই ছিলেন। কিন্তু তাঁদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা এবার তৃণমূলে ফিরলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করলে বলে জানিয়েছেন।
নৈহাটিতেও বিজেপিতে ভাঙন
নৈহাটিতেও গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরায় তৃণমূল। নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর মোড এলাকায় তৃণমূলের প্রতিবাদ সভাতেও অনেকেই যোগ দেন তৃণমূলে। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পার্থসারথি পাত্র-সহ শতাধিক কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও কাঁকিনাড়াতেও আরেকটি সভায় শতাধিক বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন বলে জানা গিয়েছে।
যোগদান কর্মসূচিতে ছিলেন ছোট-বড় অনেক নেতাই
যোগদান কর্মসূচিতে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছাড়াও ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, সুবোধ অধিকারী, সোমনাথ শ্যাম এবং নারায়ণ গোস্বামী। ছিলেন ভাটপাড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবজ্যোতি ঘোষ, জগদ্দল শহরের সভাপতি জিতেন্দ্র সাউ, তৃণমূলে নেতা গোপাল রাউত, অমিত সাউয়ের মতো নেতারা।
ত্রিপুরায় বিজেপি শেষ
দলবদল অনুষ্ঠানের শেষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন ত্রিপুরায় বিজেপি শেষ হতে চলেছে। বিপ্লব দেবের সরকার তৃণমূলের বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের ভয় পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা-সহ বেশ কয়েকজন ত্রিপুরায় গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবাদ করে নৈহাটির রাজেন্দ্রপুরে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বনমন্ত্রী। ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের নামে হিংসা ও তাণ্ডব চলছে বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী। তিনি আরও দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার হবে।