মা দুর্গাকে কেন সিঁদুর দেওয়া হয়? জানুন ৪৫০ বছরের পুরনো এই প্রথার পিছনে থাকা কারণ
প্রত্যেক বছর আশ্বিণ মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে নবরাত্রি শুরু হয়ে যায়। অন্যদিকে বাঙালীদের দুর্গোৎসবও সেই সময় শুরু হয়। নবরাত্রির ৯দিন ধরে মা দুর্গার পুজো অর্চনা করা হয়ে থাকে। বিজয়া দশমীর দিন বাঙালীরা মা দুর্গার বিসর্জন করে থাকেন। আর এইদিন মা দুর্গাকে বরণ করার সময় সিঁদুর খেলার রীতি পালন করা হয়। এইদিন বিবাহিত মহিলারা মা দুর্গাকে সিঁদুর অর্পণ করেন। মা দুর্গাকে নিয়ে এরকম ধার্মিক মান্যতা আছে যে নবরাত্রির ৯দিন মা দুর্গা নিজের মায়ের কাছে আসেন। দেশের একাধিক রাজ্যে মা দুর্গাকে স্বাগত জানানোর জন্য ধুম পড়ে যায়।
সিঁদুর খেলা প্রচলিত
একদিকে নবরাত্রির নয়দিন অন্যদিকে বাঙালী দুর্গোৎসবের পাঁচদিন। এরপর বিজয়া দশমীর দিন মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে হয়। পশ্চিমবাংলা, বাংলাদেশে এই বিজয় দশমীকে ঘিরে উৎসবের আবহ তৈরি হয়। এই দিন পানপাতা দিয়ে মা দুর্গাকে বরণ করে সিঁদুর অর্পণ করা হয়। তাঁকে জল মিষ্টি খাইয়ে স্বামীর বাড়ির দিকে রওনা করা হয়। এই সময় মা দুর্গার সিঁথি সিঁদুরে ভরা থাকে।
এভাবে এই নিয়ম পালন করা হয়
সিঁদুর খেলার সময় পানপাতা দিয়ে মা দুর্গার গাল স্পর্শ করা হয়। এরপর এই পাতা দিয়ে মায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরানো হয়। এরপর মা দুর্গাকে পানপাতা ও সিঁদুর অর্পণ করা হয়ে থাকে। মা দুর্গার থেকে আশীর্বাদ নেন সকলে এবং আগামী বছর শীঘ্র আসার আর্জি জানানো হয়। এরপর বিবাহিত মহিলারা একে-অপরের সঙ্গে সিঁদুর খেলতে শুরু করেন এবং স্বামীর দীর্ঘায়ুর কামনা করেন। এই উৎসব দুর্গা বিসর্জনের দিন করা হয়ে থাকে।
মা দুর্গাকে এই জিনিসগুলি অর্পণ করা হয়
যেমনভাবে বিয়েতে মেয়েদের বিদায় করার সময় তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার জিনিস ও অন্যান্য অনেক কিছু দেওয়া হয়ে থাকে তেমনি মা দুর্গার বিদায়ের সময় তাঁর সঙ্গে শৃঙ্গারের জিনিস দেওয়া হয়ে থাকে। এর সঙ্গে আরও কিছু দেওয়া হয়। দেবলোকে যেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্যই এই প্রথা পালন করা হয়। এই প্রথা দেবী বরণ নামে পরিচিত।
অনেক পুরনো এই প্রথা
বিজয় দশমী বা দুর্গা বিসর্জনের দিনে মা দুর্গাকে সিঁদুর লাগানোর এই রীতি বহু শতাব্দী প্রাচীন। বাঙালি সমাজে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম এই আচারের সূচনা হয়। প্রায় ৪৫০ বছর আগে, মহিলারা দেবী দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক এবং ভগবান গণেশের উপাসনা করতেন, বিসর্জনের আগে তাদের সজ্জিত করতেন এবং মিষ্টি সুস্বাদু খাবারের ভোগ দেওয়া হত। তারপর থেকেই সারা দেশে পালিত হতে থাকে এই প্রথা। শেষে মা দুর্গা সহ নিজে ও অন্যান্য মহিলাদেরও সিঁদুর দিয়ে সিঁথি ভরিয়ে দেওয়া হয়। এটা মানা হয় যে ভগবান প্রসন্ন হয়ে তাঁকে সৌভাগ্যের বরদান দেবেন।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ পৌরাণিক শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
মুম্বই রেস্তোরাঁয় এই ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা গেল সারা আলি খানকে! বি–টাউনে জোর গুঞ্জন শুরু