Devi Review: ১৩ মিনিট..একটি ঘর ও চোখ জোড়ানো বার্তা
দুনিয়া,দেশ, বাড়ি, পরিবার, ঘর.. পরিসর যতই বড় হোক বা ছোট হোক, অত্যাচারের মাত্রা একই এমন ঘটনা 'অত্যাচার' নাকি 'ব্যধি', তা নিয়ে বহু সময় ধরে বিতর্ক চলে আসছে। এমন অত্যাচারের সাজা মৃত্যু নাকি ক্ষমা, যে ক্ষমার আগুনে নৃশংস দোষীকে পুড়তে হবে সারা জীবন... তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। 'বিতর্ক' শুধু থামাতে পারেনি একের পর এক নারকীয় ঘটনাকে। যে নারকীয় ঘটনা 'ধর্ষণ' নামে পরিচিত। সমাজ, জাতি, বর্ণ, অর্থের ভেদাভেদের বাইরে মহিলারা যে সর্বস্তরেই এমন ঘটনার শিকার তা আরও একবার জানান দিল শর্ট ফিল্ম 'দেবী'।
একটি ঘর। একাধিক মহিলা। সেখানে রয়েছেন বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ , সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। যে ঘরে মহিলাদের চরিত্র ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু তাঁদের সমস্যার চরিত্রটি একই। আর সেই সমস্যার চরিত্রটির নাম প্রকাশিত হয়েছে এক্কেবারে শেষে গিয়ে।
মূলত ছবির গল্প বলার ধরনেই মাত হয়েছে কাজল, নীনা কুলকর্নি, শ্রুতি হাসান, নেহা ধূপিয়া অভিনীত ছবি 'দেবী'। বাঙালি পরিচালক প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ছবির নামকরণ সাদাকালোর শর্মিলা ঠাকুরের মুখকে মনে পড়িয়ে দিলেও, সাম্প্রতিক ভারতের মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে হাড়-পাঁজরা বের করা পরিস্থিতি তুলে ধরেছে।
কখনও কাঠুয়া, কখনও উন্নাও, কখনও পার্কস্ট্রিট, আবার কখনও তেলাঙ্গানা, ভারতের সর্বত্রই ধর্ষণ ঘিরে আক্রান্তের যন্ত্রণা একই। এরপরও রাজধানীর বুকে নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে চলে দীর্ঘ আইনি লড়াই। আর এই সমস্ত ছবি মিলিয়ে দিনের শেষে আর্তনাদের সুর একই। সেখানেই 'দেবী'সম মানবজাতির একটা অংশকে বার বার 'ঠকে' যেতে হয়। আর সেই 'ঠকে' যাওয়ার কাহিনীই বলেছে 'দেবী'।