আরিয়ানের গ্রেফতারির কি পূর্বপরিকল্পিত? NCB সাক্ষীর হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটে বাড়ছে নতুন সন্দেহ
আরিয়ানের গ্রেফতারির কি পূর্বপরিকল্পিত? NCB সাক্ষীর হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটে বাড়ছে নতুন সন্দেহ
আরিয়ান খানের গ্রেফতারির নেপথ্যে পূর্ব পরিকল্পিত কোনও চক্রান্ত ছিল কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই জল্পনার পারদ চড়েছে। প্রকাশ্যে এসে পড়েছে এনসিবির মূল সাক্ষীর হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট। তাতেই আরও যড়যন্ত্রের গন্ধ জোরাল হচ্ছে।আরিয়ান খান ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। তিনি অভিযোগ করেছেন এনসিবি আধিকারীক সমীর ওয়াংখেড়ে ষড়যন্ত্র করে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করেছিলেন।
মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার আরিয়ান খান
৩ অক্টোবর গোটা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের গ্রেফতারি। ২ অক্টোবর মুম্বই মুম্বই-গোয়া ক্রুজ শিপ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে ৩ সপ্তাহ জেলে ছিলেন আরিয়ান খান। প্রভাবশালী হয়েও এনসিবির হেফাজত থেকে তাঁকে বের করতে পারেননি শাহরুখ খান। পরপর জামিন খারিজ হয়েছিল আরিয়ানের। অনেক চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত আরিয়ান খান ৩ সপ্তাহ পর দীপাবলির কয়েকদিন আগে জামিন পান। তার জন্য আইনজীবীর লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল আদালতে।
চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
আরিয়ান জেলে থাকতেই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী দাবি করেছিলেন আরিয়ান খানের মুক্তির জন্য এনসিবি ২৫ কোটি টাকা চেয়েছে। তারপরেই সমীর ওয়াংখেড়েকে নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তারপরেই আবার এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে এনসিবির মূল সাক্ষ্মী কেপি গোসভাই এবং প্রভাস পাটিলের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটে একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে গোয়ার সেই ক্রজ শিপে এনসিবির হানা দেওয়ার পর অনেক ঘটনাই ঘটেছিল সেটা প্রকাশ্যে আসেনি। তাতেই বোঝা যাচ্ছে আরিয়ান খানের গ্রেফতারির নেপথ্যে বড় কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।
কে কেপি গোসাভি?
এবিপি নিউজের তদন্তে জানা গিয়েছে এই কেপি গোসাভি আসনে একজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ বা গোয়েন্দা। যিনি নিজেকে এনসিবি আধিকারীক বলে দাবি করে থাকেন। তিনি এনসিবি অফিসার পরিচয় দিয়েই প্রথম সেই ক্রুজ শিপে গিয়েছিলেন। এবং আরিয়ান খানের গ্রেফতারির পর তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন। তারপরেই এনসিবির তরফে দাবি করা হয় কেপি গোসাভি তাঁদের কেউ নয়। এবং তাঁকে গ্রেফতার করে এনসিবি। ২০১৮ সালে এক জালিয়াতির মামলায় জেলে রয়েছেন তিনি।
কে প্রভাকর শৈল ?
এনসিবির আরেকজন সাক্ষী এই প্রভাকর শৈল। এবং তিনি নিজে গোসাভির গাড়ির চালক। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে অভিযুক্তদের নাম লেখা হয়েছিল।এনসিবি তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে। গোসাভির একাধিক জালিয়াতির কীর্তির সহযোগী ছিলেম এই প্রভাকর শৈল। গোয়াভি এবং শৈলের হোয়াটস অ্যাপ চ্যােট একাধিক সন্দেহজনক কথাবার্তা পাওয়া গিয়েছে। গোসাভি শৈলকে হাজি আলিতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। তারপরে আবার লেখা হয়েছে গোসাভি কোনও ঘরের দরজা বন্ধ করে তার চাবি হলের মধ্যে ফেলে দেওয়ার কথা বলেছে। তাতেই ক্রজ শিপে রেভ পার্টিতে এনসিবির রেড চলার সময় বেশ কিছু হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটে সন্দেহ জাগিয়েছে। তাতা জানা গিয়েছে গোসাভির নির্দেশে হাজিআলিতে শৈল িগয়েছিলেন ৫০ লক্ষ টাকা নিতে। ইন্ডানা হোটেলের কাছে এই টাকা নিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সেখানে গিয়েছিলেন শৈল। এবং একটি সাদা গাড়ি এসে সেই টাকা তার হাতে দিয়ে গিয়েছিল। গোসাভির হয়ে টাকা ভর্তি দুটি ব্যাগ তিনি নিয়ে এসেছিলেন। এনসিবির পৌঁছনোর আগেই গোসাভির হিট লিস্টে ছিলেন ১০ জন হাইপ্রোফাইল।
কী কথা হয়েছিল গোসাভির সঙ্গের
শৈল জানিয়েছেন রেভ পার্টিতে এনসিবি রেড করার আগেই সেখানে তাঁকে পাঠিয়েিছলেন গোসাভি। এবং হোয়াটস অ্যাপে বেশ কিছু ছবি তিনি পাঠিয়েছিলে। এবং বলেছিলেন এই ছবির সঙ্গে মিলছে এমন কেউ ঢুকছে কিনা রেভ পার্টিতে তা নজরে রাখতে।তারপরেই সেখানে রেড করে এনসিবি। তার পরেই একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সেলফি নিয়েছিলেন গোসাভি। সেই তালিকায় যেমন আরিয়ান খান ছিলেন তেমন ছিলেন এনসিবিরি অফিসাররাও। সেই ছবিই ছড়িেয় পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।