বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ! প্রয়াত অভিনেতা কাদের খান
বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ। এবার আর খবরটা গুজব নয়, দুঃসংবাদকে সত্যি করে এবার অন্য এক জগতে পাড়ি দিলেন বলিউডের অন্যতম বর্ষীয়াণ অভিনেতা কাদের খান
বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ। প্রয়াত হলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক বর্ণময় চরিত্র কাদের খান। বছরের প্রথম দিনেই কানাডার এক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ৮১ বছরের কাদের খানকে গত সপ্তাহেই হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর ছেলে সরফরাজ ও পুত্রবধূ। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ৩০ তারিখ রাতেই কাদের খানের প্রয়াণের খবর একবার চাউড় হয়েছিল। খোদ অল ইন্ডিয়া নিউজ সেই খবর দিয়েছিল। কিন্তু, পরে পিটিআই কাদের খানের ছেলের বয়ান উল্লেখ করে জানায়, কাদের খান জীবীত এবং ভেন্টিলেশনে রাখলেও তিনি সুস্থ আছেন। কিন্তু, এই সুস্থতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। ২০১৮ পেরিয়ে ২০১৯-এর প্রবেশের শুভলগ্নেই বলিউডে ঘটে গেল আরও এক নক্ষত্র পতনের ঘটনা।
একটা সময় হিন্দি সিনেমা মানেই তাতে কাদের খানের উপস্থিতি ছিল বাধা। তাঁকে ছাড়া যেন বলিউডের কোনও ছবি-কেই কল্পনা করা যেত না। কিন্তু, গত কয়েক বছর ধরে আর সেভাবে সিনেমার পর্দায় তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাতে ছবির কাজও কমিয়ে দিয়েছিলেন। কাদের খানের শেষ ছবি 'হো গ্যায়া দিমাগ কা দহি'-র পরিচালক ফউজিয়া আরশি জানান, তিন থেকে চার মাস আগে কানাডায় বড় ছেলের কাছে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে কাদের খানের হাঁটু-তে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে তিনি হুইল চেয়ারের সাহায্যেই চলাফেরা করতেন। জানা গিয়েছে সম্প্রতি শ্বাসকষ্টজনিত কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছেলে সরফরাজের কাছে কানাডায় তিনি থাকতেন। সেখানেই হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ ভেন্টিলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হয় এই বর্ষীয়াণ অভিনেতা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এই অভিনেতার মৃত্যু সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে যায়।যদিও পরে তাঁর ছেলে সরফরাজ জানান যে অভিনেতা আপাতত ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। কিন্তু এদিন সেই গুজবের দুঃসংবাদকে সত্যি করেই ইহলোক ছেড়ে গেলেন এই গুণী অভিনেতা।