'সলমন' থেকে প্রিয় 'ভাইজান' হয়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে এই ঘটনাগুলি, কিছু অজানা কথা
বিতর্ক তাঁকে পিছু ছাড়েনি কোনওদিনই। বলিউডের এই বিতর্কিত চরিত্রের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক অসামান্য মানবিক মুখ।
বিতর্ক তাঁকে পিছু ছাড়েনি কোনওদিনই। হিট অ্যান্ড রান মামলা থেকে কৃষ্ণসার হরিণহত্যা মামলা, সাম্প্রতিককালে জাতপাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, সব সময়েই সলমন খান থেকে গিয়েছেন বিতর্কের অন্ধকারে। শুধু তাই নয়, তাঁর প্রেমজীবন নিয়েও বিতর্ক কিছু কম হয়নি। বলিউডের এই বিতর্কিত চরিত্রের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক অসামান্য মানবিক মুখ। তাঁর ৫১ তম জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক সেই সলমানকে , যাঁকে সচরাচর লোকে চেনেন না।
[আরও পড়ুন:এখনও কি আছে গোপন ব্যথা ! নয়তো ঐশ্বর্যর ছবি সম্পর্কে এই বক্তব্য কেন সলমানের]
'উপরে ঈশ্বর আছেন, নিচে সলমন'
কাশ্মীরের অনন্তনাগে সলমান যখন 'বজরঙ্গি ভাইজান' ছবির জন্য় শ্যুটিং করছেন , তখন এলাকার এক দরিদ্র পরিবারের ৭৫ বছর বয়সী মহিলা জায়না বেগম এসে তাঁর দারিদ্রের কথা জানান সলমানকে। সঙ্গে সঙ্গে তা শুনে মহিলার বড় নাতিকে ভালো চাকরীর ব্যবস্থা করে দেন সলমন। এরপর এক সময়ে, জায়না মিডিয়াকে সব তথ্য জানিয়ে বলেন 'উপরে ঈশ্বর আছেন আর নীচে সলমান খান।'
বডিগার্ডদের কাছ থেকে টাকা নিলেন, কিন্তু কেন?
একবার মুম্বইয়ের বান্দ্রাতে এক বিখ্যাত রেস্তোরাঁতে পার্টি করছিলেন সলমান। রেস্তোরাঁর বাইরে বেরোতেই দেখেন কয়েকজন ছোট্ট শিশু তাদের হাতের আঁকা বই বিক্রি করছিল। সলমানকে দেখতে পেয়েই তারা এগিয়ে এসে বইগুলি কিনতে বলে তাঁকে। রেস্তোরাঁর বাইরে মিডিয়ার ভিড় সরিয়ে সলমন ওই শিশুদের আবেদনে সাড়া দিতে গিয়ে দেখেন তাঁর কাছে নগদ টাকা নেই। শেষে বডিগার্ডদের থেকে টাকা নিয়ে ওই বইগুলি কিনে নেন সকলের আদরের ভাইজান।
বিইইং 'ভাইজান'!
সলমান খানের সমাজসেবামূলক সংস্থা 'বিইং হিউম্যান' সারা দেশের বহু মানুষের মুখেই হাসি ফুটিয়েছে। মহারাষ্ট্রের একাধিক গ্রামকে তারা দত্তক নিয়ে সেখানের মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে এই সংগঠন। এর জন্য তারা 'বিইইং হিউম্যান'-এর টি শার্ট বিক্রি করে প্রয়োজনীয় টাকা আয় করে।
[আরও পড়ুন:ভাইজানের বার্থডে ব্যাশ , ৫২ -র সলমানের জীবনে নয়া কেমিস্ট্রির ইঙ্গিত]
তাঁর পেন্টিং নিলাম
সলমান খান অবসরে আঁকতে ভালোবাসেন সেটা অনেকেই জানেন। আর সেই অবসরে বসে আঁকা বহু ছবিই তিনি নিলামে তুলে দেন । যে অর্থ আসে তা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে তা তিনি দান করে দেন।
গ্রামে শাড়ি বিলি করেছেন
তখন 'বজরঙ্গি ভাইজান' -এর শ্যুটিং এর কারজাট নামক এক এলাকায় ব্যস্ত সলমান। এরই মধ্যে গোটা শ্যুটিং ইউনিটকে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী হাতলুনি গ্রামে গরীব মহিলাদের শাড়ি বিলি করার কাজে অংশ নেন তিনি। সেখানের দুর্বস্থাগ্রস্ত বাড়িগুলিতে রং করার কাজেও হাত লাগান এই তারকা।
'বোনম্যারো' দান করা
ঘটনা ২০১০ সালের। সেই সময়ে বোন ম্য়ারো ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন ছিল পুজা নামের এক ছোট্ট শিশুর। কেউ এগিয়ে আসেনি তখন তার পাশে । এরপর একথা কানে যায় সলমানের। বহু লোকজনকে রাজি করিয়ে তিনি এগিয়ে আসেন। কিন্তু শেষমুহুর্তে সবাই এই কাজ থেকে পিছপ হটে যায়। তবে সলমান আর তাঁর ভাই আরবাজ পিছু হটেননি। তাঁরা পুজাকে বোনম্যারো দান করে প্রথম ডোনার হিসাবে চিহ্নিত হন।