অলিম্পিকের সুপারস্টার মীরাবাঈয়ের স্বপ্নের নায়ক কে? বলিউড তারকাকে নিয়ে মুখ খুললেন চানু
অলিম্পিকের সুপারস্টার মীরাবাঈয়ের স্বপ্নের নায়ক কে? বলিউড তারকাকে নিয়ে মুখ খুললেন চানু
এই মুহূর্তে মনিপুরের মীরাবাঈয়ের বিশ্বজয়ের কাহিনি কার্যত তাক লাগাচ্ছে অনেককেই। বিশ্বমঞ্চে তাঁর অদম্য লড়াই যেভাবে ভারতকে রুপো এনে দিয়েছে তাতে গর্বিত কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। এই পরিস্থিতিত মীরাবাঈয়ের পছন্দের বিভিন্ন দিক নিয়ে রয়েছে মানুষের কৌতূহল। তাঁর পছন্দের বলিউড নায়ক কে , তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।
শুভেচ্ছার বন্যা
মূলত, মীরাবাঈ চানুর স্বপ্নের নায়ক কে তা জানার আগে দেখে নেওয়া যাক, তাঁকে ঘিরে বলিউডের বিভিন্ন মহলে কতটা উত্তেজনা রয়েছে। যেদিন মীরাবাঈ চানু অলিম্পিকের মঞ্চে রুপো উপহার এনেছেন ভারতকে, সেদিন উচ্ছ্বসিত ছিল আসমুদ্র হিমাচল। ফলে সেই জায়গা থেকে সেদিন মীরাবাঈকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনিল কাপুর থেকে বলিউড স্টার অভিষেক বচ্চন, দিয়া মির্জারা। শুভেচ্ছা চজানান রীতেশ দেশমুখ থেকে সলমন খান।
মীরাবাঈয়ের স্বপ্নের নায়ক কে?
মীরাবাঈ চানুর স্বপ্নের নায়ক সলমন খান। অক সাম্প্রতিক টিভি ইন্টারভিউতে তিনি জানিয়েছেন, 'সলমন খানকে আমার খুব ভালো লাগে। ওঁর বডি স্ট্রাকচার .. সব পছন্দ আমার।' প্রসঙ্গত, 'সুলতান' স্টারের বিষয়ে মীরবাঈয়ের এই মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ঝড় উঠেছে।
সলমনের টুইট
এদিকে, সলমন খান নিজে চানুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । মীরবাঈ চানুকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে সলমন খান এক টুইটে লেখেন, ' শুভেচ্ছা মীরাবাই চানু, কারণ আপ আপনি ভারতের সুপারস্টার হয়েছেন! আপনি আমাদের গর্বিত করেছেন। ' এরপরই ওই টুইটে মজার ছলে হিন্দিতে সলমন লেখেন 'আপ তো আসলি দাবাং নিকলি'!
মীরাবাঈ ও পিৎজা
অযাবৎকালে সকলেই জানেন যে , মীরাবাঈ এই অসামান্য যুদ্ধে জয়ের পরই জানিয়েছেন যে , তিনি পিৎসজা খেতে চান এবার। কারণ কঠিন ট্রেনিং এর মধ্যে থাকা মীরাবাই চেয়েও অলিম্পিকের আগে পিৎজার দিকে তাকাননি। তবে অলিম্পিক থেকে তিনি রুপো জিততেই তিনি জানিয়েছিলেন যে তিনি পিৎজা খেতে চান। আর সেই মতো , তাঁকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী তা খাইয়ে ছিলেন। এদিকে, এর সঙ্গেই তাঁর পিৎসজা প্রেমের কথা জানতে পেরে ডমিনোজ তাঁকে বিনামূল্যে পিৎসার ডিল অফার করেছে।
মাধবনের বার্তা মীরাকে নিয়ে
অলিম্পিকের মঞ্চে জয় করেও, নিজের ছোট্ট বাড়িতে মাটিতে বসে স্টিলের থালায় মীরাবাঈ ভাত খেয়েছেন। এই ছবি এই মুহূর্ত ভাইরাল। আর তার জেরেই আর মাধবন সম্ভিত হয়ে এই দারিদ্রতার পরিস্থিতি দেখে এদিন একটি টুইট করেছেন।
কী লিখেছেন মাধবন?
মাধবন এদিন লেখেন, 'হে.. এটা সত্যি হতে পারে না। আমার কাথে শব্দ নেই বলার মতো'। প্রসঙ্গত, যে টুইট তিনি রি টুইট করে বিষয়টি নিয়ে লেখেন , তাতে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি তুলে ধরেছেন মীরাবাঈ চানুর অদম্য লড়াইয়ের কথা। সেখানে তিনি লেখেন, কতটা লড়াই করে মীরাবাঈ নিজের জায়গা দখল করে নিয়েছেন। আর সেই দারিদ্রতার পরিস্থিতির কথা শুনেই হতবাক হয়েছেন মাধবন। সেই সূত্রেই তাঁর এমন টুইট।
মীরাবাঈ চানুর জীবন
১৯৯৪ সালের ৮ অগাস্ট সাইকোম মীরাবাঈ চানুর জন্ম হয়। যে এলাকায় মীরা জন্মান তা মণীপুরের ইম্ফল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। মেইতেই পরিবারে জন্মেছেন মীরাবাঈ। মাত্র ১২ বছর বয়সে মীরাবাঈ চানুর এই ক্রীড়া প্রতিভা রীতিমতো ঈর্ষণীয়। তখন থেকেই এই প্রতিভার প্রকাশ পেয়ে তাঁকে ট্রেনিং এর জন্য় তৈরি করে তাঁর পরিবার। এরপর যা ঘটেছে তা ইতিহাস।
মীরাবাঈয়ের নজির
সাঁইখোম মীরাবাই চানু ২০১৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ইভেন্টে ৪৮ কেজি পর্যায়ে তাক লাগিয়ে দেন। এরপর টোকিও অলিম্পিক। ২০২০ সালে করোনাকালে যে অলিম্পিকের আয়োজন হতে পারেনি, তাতে কার্যত তাক লাগিয়ে দেন মীরাবাঈ। জিতে নেন রৌপ্য পদক।
মীরাবাঈ চানুর অজানা কথা
জানা যায়, এদিকে একবার গল্পের ছলেই মীরাবঈয়ের দাদা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, খুব ছোট্টবেলা মনিপুরের পাহাড়ি এলাকা থেকে গাছের কাঠ তুলে নিয়ে আসতেন মীরাবাঈ। সেই কাঠ পাহাড়ি এলাকা পার করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এমনই মত ছিল মীরাবাঈয়ের দাদার। সেই কাঠের ওজন মীরার দাদার কাছেই বেশ ভারী লাগত। তবে অনায়াসে সেই কাঠ১২ বছর বয়স থেকেই বয়ে নিতে পারতেন অই মহিলা ভারোত্তোলক।