দাউদের দেওয়া এই প্রস্তাব দুবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ঋষি কাপুর!
সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে ঋষি কাপুরের আত্মজীবনী খুল্লম খুল্লা : আনসেন্সর্ড। ছোট থেকে বড় হওয়া, স্ত্রী নীতু সিংয়েরর সঙ্গে দেখা, বলিউডের চড়াই-উতরাই নিয়ে লেখার পাশাপাশি ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ
সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে ঋষি কাপুরের আত্মজীবনী খুল্লম খুল্লা : আনসেন্সর্ড। ছোট থেকে বড় হওয়া, স্ত্রী নীতু সিংয়েরর সঙ্গে দেখা, বলিউডের চড়াই-উতরাই নিয়ে লেখার পাশাপাশি ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অভিজ্ঞতাও বইয়ে লিখেছেন ঋষি।
১৯৯৩ সাল থেকে পলাতক দাউদ ইন্টারপোলের তালিকায় মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী। দাউদের জীবন নির্ভর একাধিক ছবি বলিউডে তৈরি হয়েছে। ডি ডে ছবিতে ঋষি কাপুর অভিনীত গোল্ডম্যান চরিত্রটিও দাউদের উপরই নির্মিত।
ঋষি বইতে লিখেছেন, দাউদের সঙ্গে দুবার দেখা হয়েছিল ঋষির। প্রথমবার ১৯৮৮ সালে দুবাইয়ে একটি অনুষ্ঠানের পর দাউদেরই বাড়িতে। ঋষি কাপুরের সঙ্গে বসে চা খেয়েছিলেন গ্যাংস্টার। এমনকী ঋষি কাপুর বাড়ি থেকে বেরনোর আগে দাউদ তাঁকে বলেছিলেন, "তুমি যদি কিছু চাও, টাকা বা অন্যকিছু, নিঃসঙ্কোচে আমাকে বলতে পার।" যদিও সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ঋষি।
দ্বিতীয়বার ১৯৮৯ সালে দুবাইতেই আবার দেখা হয়েছিল দাউদ-ঋষির। একটি দোকানে স্ত্রী নীতু সিংয়ের জন্য জুতো কিনতে গিয়েছিলেন ঋষি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দাউদ। দাউডের সঙ্গে ছিলেন আট দশজন নিরাপত্তারক্ষী। দাউদের হাতে ফোন ছিল। ৮৯' সালে ভারতে তখন মোবাইল ফোন ছিলই না।
তখনও ঋষিকে কিছু একটা কিনে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন দাউদ। সে প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ঋষি। দাউদ এরপর ঋষিকে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে গিয়েছিলেন।
নিজের আত্মজীবনীতে ঋষি লিখেছেন, "প্রত্যেকবার তিনি (দাউদ) আমার সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করেছেন, আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়েছেন।" কিন্তু পরে ভারত নিয়ে দাউদের ভারত প্রসঙ্গে আচরণ পাল্টানোর পরই তাঁকে নিয়ে যে একটা অজানা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল ঋষির তাও বইতে জানিয়েছেন তিনি।