এই ভারতীয় ব্যক্তি না থাকলে আরও দেরি হতো শ্রীদেবীর দেহ ফেরত আসতে! চিনে নিন এই মানুষটিকে
২৭ ফেব্রুয়ারি অনেক কষ্ট করে বনি কাপুররা দুবাই বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন। এরপর প্রাইভেট জেটে করে রাত ৯.২২টায় মুম্বইয়ে শ্রীদেবীর দেহ নিয়ে আসা হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাই-এর জুমেইরা টাওয়ারের হোটেলে মারা যান শ্রীদেবী। কিন্তু, শ্রীদেবীর দেহ মুম্বই নিয়ে আসতেই লেগে যায় তিন দিন। দুবাই-এর নিয়মের জাঁতাকলে শ্রীদেবীর দেহ আটকে গিয়েছিল। এরমধ্যে ডেথ সার্টিফিকেটে 'অ্যাক্সিডেন্ডাল ড্রাউনিং'-এর কথা উল্লেখ থাকায় শ্রীদেবীর দেহ ছাড়া নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন:গল্প অসমাপ্ত রেখেই পাড়ি জমালেন চাঁদনি, বিদায়কালে তৈরি করলেন এক মিথ]
২৭ ফেব্রুয়ারি অনেক কষ্ট করে বনি কাপুররা দুবাই বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন। এরপর প্রাইভেট জেটে করে রাত ৯.২২টায় মুম্বইয়ে শ্রীদেবীর দেহ নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকারের কড়া নিয়মের জালে কী ভাবে সম্ভব হল শ্রীদেবীর দেহ ফিরিয়ে আনা। এই প্রসঙ্গে সামনে এসেছে আসরাফ নামে এক ব্যক্তির কথা। যিনি আদতে কেরলের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, আসরাফ-ই শ্রীদেবীর দেহ ফেরত আনার জন্য যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করেন। এমনকী, বনি কাপুরদের বুদ্ধিও দেন যে কোন উপায়ে দেহ তাড়াতাড়ি নিয়মের বেড়াজাল থেকে বের করে আনা সম্ভব।
কেরলের ছেলে আসরাফ বহুদিন ধরেই দুবাই-এর বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি সেখানে সরকারি দফতরে কাজ করেন। শ্রীদেবীর দেহ আটকে আছে জানার পর আসরাফ উদ্যোগী হন বনি কাপুরদের সাহায্য করতে। তিনি বনি কাপুরদের বাতলে দেন কোন কোন নথি তৈরি করতে হবে। এরফলে পুলিশ দেহ বের করার অনুমতি দিলেই সহজে বনি কাপুররা দেশে ফেরার বিমান ধরতে পারবেন।
[আরও পড়ুন:শেষকৃত্যের পর শ্রীদেবীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ভেসে এল টুইট বার্তা]
আসরাফের পরামর্শ মতো বনি কাপুরের পরিবার সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করান। এই কাজে সাহায্য করেন আসরাফ। শ্রীদেবী-রমতোই আসরাফ দক্ষিণ ভারতীয় হওয়ায় বনির সুবিধাই হয়। পেপার ক্লিয়ারেন্সের সমস্ত খুটি-নাটির অধিকাংশটাই আসরাফ নিজের হাতেই সামলে নেন। এর ফলে ২৭ তারিখ দুপুর ২টোর সময় শ্রীদেবীর দেহ ফেরত নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দুবাই-এর পাবলিক প্রসিকিউটার সবুজ সঙ্কেত দিতেই পেপার ওয়ার্ক নিয়ে নতুন করে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। কাগজপত্র আগে থেকে তৈরি থাকায় বনি কাপুর খুব সহজেই স্ত্রী শ্রীদেবীর দেহ নিয়ে রাতেই মুম্বই পৌঁছে যান। আসার পথে আসরাফ-কে বারবার ধন্যবাদও নাকি জানিয়ে আসেন বনি। কি এক অদ্ভুত সংযোগ আমাদের দেশে যখন রাজনৈতিক নেতারা হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ করতে এখনও চক্রান্ত করে যান, তখন এক হিন্দুকে সাহায্য করে সেই মুসলিম। আসলে মনুষত্বই যে সর্বোচ্চ মাপকাঠি, শ্রীদেবী ও আসরাফের সংযোগ যেন সেটাই ফের একবার প্রমাণ করল।