রণবীর সিংই এখন আদিত্য চোপড়ার নতুন 'শাহরুখ খান'!
রণবীর শাহরুখকে নকল করে না বা ওর মতো অভিনয় করে না। আসলে শাহরুখ যেমন নিজের ক্যারিশ্মা, অভিনয় দিয়ে আমার খামতিগুলো ঢেকে দিত রণবীরও ঠিক তেমনই আমার জন্য। তাই ওই এখন আমার জন্য শাহরুখ খান।"
বেফিকরে ছবি মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন আগেই ছবির পরিচালক আদিত্য চোপড়া বলেছিলেন রণবীর নামের অভিনেতা যদি না থাকত তাহলে বেফিকরে ছবিটিই বানাতেন না আদিত্য।
বেফিকরে আদিত্য চোপড়ার জীবনের একটা নতুন মোড় বললে ভুল হবে না। কারণ, এই ছবি হিট করুক বা ফ্লপ এই ছবি দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে থেকে শুরু করে বেফিকরে-র পরিচালক আদিত্যর রূপান্তরের একটা তীব্র ইঙ্গিত দেয়।
এই প্রথমবার শাহরুখ খানকে ছাড়া ছবি বানালেন আদিত্য চোপড়া। এর আগে তাঁর পরিচালনায় তিনটি ছবিতেই অভিনয় করেছেন কিং খান।
সেটা স্বাভাবিক, যখন শাহরুখ DDLJ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তখন তার বয়স ছিল ৩০ বছর। এখন তিনি পঞ্চাশ পেরিয়েছেন। বিদেশের পটভূমিতে কেয়ারফ্রি তরুণ লাভস্টোরিতে শাহরুক আজ বেমানান সেটা মেনে নিয়েছেন আদিত্যও। আর তাই এবার পছন্দের শাহরুখের রিপ্লেসমেন্ট বেছে নিতেই হয়েছে তাঁকে।
আদিত্যর কথায়, "আমি আমার গোটা জীবনে এখনও পর্যন্ত শুধু একজন অভিনেতাকেই পরিচালনা করেছি। শাহরুখ খান। যারা শাহরুখের সঙ্গে কাজ করেছেন তারা জানেন, যে ওকে নিলে কাজ এত সহজে হয়ে যায় যে পরিচালক অন্য কারোর কথা ভাবতেও পারে না।"
তাহলে শাহরুখের পরিবর্তে অন্য কাউকে নেওয়ার কথা কেন ভাবলেন আদিত্য। সেকথাও নিজের মুখেই জানিয়েছেন আদিত্য। তাঁর কথায়, "আমি আসলে ভয় পেয়েছিলাম। এতদিন শাহরুখের সঙ্গেই কাজ করেছি। ওর জন্যই আমি প্রশংসিত হয়েছি। তাই আমি এক্সপোজ হয়ে যাওয়ার ভয়টা পেয়েছিলাম।"
তবে রণবীর সিংয়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন তা ব্যক্ত করতে গিয়ে আদিত্য বলেন, "একটা অদ্ভুৎ জিনিস ঘটল আমার সঙ্গে। প্রথম যেদিন থেকে রণবীরের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করলাম, আমার মনে হল রণবীরই আমার শাহরুখ খান। সেই একই এনার্জি, একই প্রতিভা, একই বুদ্ধিমত্তা। আমি বুঝেছিলাম আমি নিরাপদ হাতেই রয়েছি।"
তবে একইসঙ্গে আদিত্যর কথায়, "তার মানে এই নয় যে রণবীর শাহরুখকে নকল করে বা শাহরুখের মতো অভিনয় করে। আসলে শাহরুখ যেমন নিজের ক্যারিশ্মা, অভিনয় দিয়ে আমার খামতিগুলো ঢেকে দিত রণবীরও ঠিক তেমনই আমার জন্য।"