বিয়ে হলেও 'চোপড়া' পদবী ব্যবহার করবেন না রানি মুখোপাধ্যায়
আগামী ছবি মর্দানি-র ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানে এসে রানি বললেন, "আমি আমার নামকে খুব ভালবাসি। আর তাই ওই নামটাই অপরিবর্তিত রাখব। আমার ছবির জন্য সবাই আমাকে রানি মুখোপাধ্যায় নামেঅ চেনে, এবং তারা সে নামেই আমাকে চিরকাল জানবেন। আমার ভক্তদের জন্যও আমি সবসময় রানি মুখোপাধ্যাই থাকব। তবে হ্যাঁ, ছেলেমেয়েকে স্কুলে ভর্তি করার সময় তখন পদবীর বদল হবে।"
রানি মুখোপাধ্যায়ের বিয়ে নিয়ে কৌতূহলের কমতি ছিল না। ফিল্ম দুনিয়ার সফলতম দুই ব্যক্তিত্বের এমন অনাড়ম্বর বিয়ের অনুষ্ঠান কেন এ প্রশ্ন করায়, রানির উত্তর, "এবিষয়ে আমার হাতে কিছু ছিল না। আমার স্বামী আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল বিয়ে করতে ইতালি যাব কি না। আমি না বলতে পারিনি। আমার অন্য কোনও উপায় ছিল না।" বলেই একগাল হাসি রানির মুখে।
আমি আমার নামকে খুব ভালবাসি, তাই ওই নামটা অপরিবর্তিতই রাখব:রানি মুখোপাধ্যায়
আদিত্য চোপড়া চলচ্চিত্র দুনিয়ার সফল ব্যক্তিত্ব হলেও আদতে মানুষটা অত্যন্ত লাজুক স্বভাবের। সেই কারণে আদিত্যকে কখনও ক্যামেরার সামনে খুব একটা দেখা যায় না। ক্যামেরার পিছনে যতটা স্বচ্ছন্দ আদিত্য ক্যামেরার সামনে ঠিক ততটাই গুটিয়ে রাখেন নিজেকে। অন্যদিকে একেবারে বিপরীত ব্যক্তিত্ব রানি মুখোপাধ্যায়ের। ছটফটে রানি কথা একবার শুরু করলে থামতেই চান না। কোনও কিছু নিয়েই কখনও আড়ষ্ট হননা রানি। এহেন দুই বিপরীতমুখী চরিত্রের মধ্যে এই বিয়ের সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত।
এবার কিছুটা গম্ভীরভাবেই রানি জানিলেন, আদিত্য এক্ষেত্রে খুব সচেতন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আদিত্য লোকের চোখে আসার থেকে কাজের মনোনিবেশ করতে বেশি পছন্দ করেন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে আদিত্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমার মনে হয় বিয়ে মানুষকে বদলে দেয়। আমার মতে বিয়ে হল জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা পন্থা মাত্র। একজন অভিনেত্রী বিয়ে করেছেন বলে আদিত্য কখনও মিডিয়াবান্ধব হয়ে উঠবেন না। উনি সম্পূর্ণ ভিন্ন অস্তিত্বের এক ব্যক্তি। ভবিষ্যতেও একইভাবে নিজের ব্যক্তিগত জায়গাটা বজায় রেখেই চলবেন। আদিত্য যতক্ষণ আমার কাছে দৃশ্যমান ততক্ষণ আমার কোনও অভিযোগ নেই, আমি খুশি।" আবার সেই বিখ্যাত চওড়া হাসি রানির মুখে।