আসছে যৌন আদালত, যেখানে সমস্ত চর্চাটাই হবে যৌনতা নিয়ে
যৌনতা নিয়ে ভারতীয় সমাজে ছুৎমার্গের শেষ নেই। তাই অপরিণত যৌন সম্পর্ক আমাদের দেশে এক বড় সমস্যা। তাই এবার খুল্লামখুল্লা যৌনতা নিয়ে কথা বলতে তৈরি হল হিন্দি ওয়েব সিরিজ। যার নাম 'সেক্স কি আদালত'।
যৌনতা- শব্দটা শুনলে এখনও বহু মানুষের হৃদকম্প ধরে যায়। প্রকাশ্যে কারওর সামনে এই শব্দতে যেন নিষেধাজ্ঞার তালা পরানো আছে। এমনকী মুখ দিয়ে কেউ 'সে--ক---স' শব্দটা একবারে উচ্চারণ করতে কতবার হোঁচট খেয়ে ফেলেন। বহুদিন ধরেই স্কুল-কলেজে যৌনতাকে পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও উঠেছে। এই নিয়ে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, যৌনতার শিক্ষা আজও দুরস্থান। ফলে, যৌনতা বিষয়টি আজও উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের কাছে অন্ধকারে থাকা এক রহস্যের হাতছানি। এর জেরে অপরিণত যৌন সম্পর্কের ঘটনা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও বিভিন্ন সমীক্ষায় বারবার সামনে এসেছে।
এমনকী, ক্লাস নাইন-টেনেও বিজ্ঞান বইয়ে থাকা বাচ্চা জন্মানোর কথা নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করতে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা থতমত খান। ফলে 'চাইল্ড রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেম' নিয়ে কোনও ধারণাই পায় না ছাত্র-ছাত্রীরা। আসলে যৌনতাকে এমন এক 'মহার্ঘ' মোড়কে রাখা হয়েছে যে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা এই নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা পায় না।
আমাদের দেশে উঠতি বয়সের অধিকাংশ ছেলে-মেয়েদেরই যৌন শিক্ষার সূত্র হয় বন্ধু-বান্ধব, না হয় পর্নের বই অথবা পর্ন সিনেমা। এর ফলে যৌনতা নিয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণ না করেই ছেলে-মেয়েরা বড় হচ্ছে শুধু নয়, বেশ একটা বড় বয়স পর্যন্তও যৌনতা নিয়ে নানা ধরনের ভুল ধারণা তাঁরা পোষণ .করে চলছে।
সামাজিক এই সমস্যা দূর করতে তাই এবার এল 'যৌনতার আদালত'। যা একটি হিন্দি সিরিয়ালের ওয়েব সিরিজ। এই ওয়েব সিরিজের নাম দেওয়া হয়েছে 'সেক্স কি আদালত'। যেখানে যৌনতাই এক এবং একমাত্র বিষয়। হস্তমৈথুন থেকে থেকে ঋতুস্রাব, যৌন নির্যাতন, নিরাপদ যৌন সম্পর্ক নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এখানে।
বাস্তবে যেভাবে আদালত বসে, ঠিক তেমনিভাবেই বসবে এই 'সেক্স কি আদালত'। হিন্দি এই ওয়েব সিরিজের প্রযোজক সংস্থা পপুলেশন ফাউন্ডেশন। ইতিমধ্যেই প্রথম এপিসোডের শ্যুটিংও হয়ে গিয়েছে।